একেবারেই নিরাপদ নয় করাচি, ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেল পাকিস্তানের এই শহর

পড়াশোনার ক্ষেত্রে হোক বা কাজের সূত্র, এক দেশ থেকে অন্য দেশে হামেশাই মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এমনকি প্রয়োজনে বছরের পর বছর অন্য দেশে থেকেও যান বহু মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের যে চিত্র সকলের সামনে উঠে এসেছে, তা দেখে বেজায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন মানুষ।

তবে বাংলাদেশে যতই অশান্তি হোক না কেন, পর্যটকদের ক্ষেত্রে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হিসাবে কিন্তু উঠে এসেছে অন্য দেশের নাম। গত ১১ জুলাই ফোর্বস উপদেষ্টার তালিকা অনুযায়ী, সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হলো ভেনেজুয়েলার কারাকাস। একশো স্কোরের মধ্যে ফুল মার্কস পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এই দেশ।

(আরও পড়ুন: মারি আঁতোয়ানেতের কাটা মুণ্ডুর গান থেকে ‘অন্য’ লাস্ট সাপার! অলিম্পিক্সের গোড়াতেই বিতর্ক)

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের নাম। পাকিস্তানের করাচি ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৩.১২ নম্বর পেয়েছে এই শহর। শুধু তাই নয়, মার্কিনস্টের ডিপার্টমেন্ট থেকে দ্বিতীয় নিকৃষ্ট ভ্রমণ নিরাপত্তা রেটিং পেয়েছে এই দেশ।

তবে এই প্রথমবার নয়, করাচি এর আগেও অবাসযোগ্য শহরের তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিল। ২০১৭ সালের শুরুতে করাচিকে বিশ্বের সবথেকে কম নিরাপদ শহরের তালিকায় প্রথম স্থান দেওয়া হয়। এরপর বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ন্যূনতম বাসযোগ্য নগর কেন্দ্রের মধ্যেও স্থান পেয়েছিল করাচি।

এবার ফোর্বস তালিকাতেও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলে পাকিস্তানের এই শহর। এই তালিকায় তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন, নাইজেরিয়ার লাগোস, ফিলিপাইন্সের ম্যানিলা।

(আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখুন চিনি খাওয়া, ফলাফল দেখে চমকে যাবেন)

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশের নাম। ৬ নম্বর অধিকার করেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার স্কোর ৮৯.৫০। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকি, অপরাধ, সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অর্থনৈতিক দুর্বলতার মত বিষয়গুলি বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।