Rachana medical facilities: এ কোথায় এসে পড়লাম! হুগলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল দেখে আক্ষেপ সাংসদ রচনার

স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাংঘাতিক খারাপ বলে মন্তব্য করলেন তিনি। এমনকী, এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন রচনা।

আরও পড়ুন – নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়ম ভেঙে মমতাকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

পড়তে থাকুন – পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে কর সংগ্রহ হয় তার দ্বিগুণ টাকা ফেরত পাঠায় কেন্দ্র

 

সম্প্রতি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পর ৫ প্রসূতির অবস্থার অবনতি হয়। তাদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলে। কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে স্বাস্থ্য মহল। এরই মধ্যে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিষেবা সম্পর্কে জানতে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করেন হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গেও। সেই বৈঠকের পর রচনা বলেন, ‘কিছুই যে হয়নি সেটা এতদিনে বুঝতে পারলাম। এমন জায়গায় এসে পড়েছি যে মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবী জয় করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার খুব খারাপ অবস্থা। চরম অব্যবস্থা চলছে এখানে। আমি প্রত্যেকটা বড় হাসপাতালে যাব। দেখব হাসপাতালগুলো কী অবস্থায় রয়েছে। কী কী আটকে রয়েছে। তার পর দিদির সঙ্গে আলোচনা করে সব ব্যবস্থা করব।’

কিন্তু যে দল রাজ্যে ১৩ বছর ক্ষমতায় রয়েছে তারই সাংসদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কিছুই হয়নি বলে মন্তব্য করায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার ২ বছরের মধ্যে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন ‘১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে’। প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী সত্যি বলে থাকলে তারই দলের সাংসদকে এখন এরকম মন্তব্য করতে হচ্ছে কেন? কেন বিরোধীদের সুর বাজছে রচনার মুখে?

আরও পড়ুন – BJPকে ভোট দিলে শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করবেন না বলে মুসলিমদের হুমকি দিয়েছেন ইমামরা

বলে রাখি, হুগলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে লাগাতার অভিযোগ করেছেন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এমনকী ভোট প্রচার চলাকালীন অব্যবস্থার অভিযোগে হাসপাতালে হানা দেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগেই এদিন স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন রচনা।