Delhi IAS Coaching Centre Death Update: ‘স্বামী কিছুই জানতেন না…’বেসমেন্টে জমা জলে দিল্লিতে মৃত তিন, গ্রেফতার ব্যবসায়ী

আইএএস হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিল্লিতে কোচিং সেন্টারে পড়তে এসেছিলেন তিনজন। আর সেখানেই পুরনো রাজেন্দর নগর এলাকায় জলে ডুবে মারা যান তিনজন। দিল্লির একটি আবাসনের বেসমেন্টের জমে থাকা জলে ডুবে যান তাঁরা। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মনোজ কাঠুরিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে। পুলিশের মতে, জলমগ্ন রাস্তায় ওই ব্যবসায়ীর গাড়ির ধাক্কায় বেসমেন্টের গেট ভেঙে গিয়েছিল। তার  জেরেই রাস্তার যাবতীয় জল সেই বেসমেন্টে চলে আসে। সেখানেই মারা যান তিনজন। 

এদিকে সেই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী কোনভাবেই অভিযুক্ত নয়। তিনিও এই ঘটনার একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানিয়েছেন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি সুবিচার পাবেন। 

তিনি জানিয়েছেন, আমার স্বামী কোনও দোষ করেননি। আমার স্বামী অভিযুক্ত নন। তিনি নিজেই এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত। সীমা জানিয়েছেন, আমার স্বামী জানতেন না যে গেটটি ভেঙে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আগে থেকেই এলাকায় জল জমত। তার জেরে গেটটি আলগা হয়ে গিয়েছিল। আর জল ওইভাবে বেসমেন্টে চলে যাওয়ার বিষয়টি পুরো দুর্ঘটনাক্রমে হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, একটা দরজা এভাবে ভেঙে যেতে পারে না। এটা আগে থেকেই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। জল যাওয়ার জেরে আগে থেকেই গেটটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এটা ভেঙে যায়। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে রয়েছি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। 

সীমা জানিয়েছেন, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ আমাদের বাড়ি গিয়েছিল। এরপর তারা জানায় যে তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। পুলিশ জানিয়েছিল অপরাধমূলক কোনও ব্যাপার নয়। একটা ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল যে একটা গাড়ি ধাক্কা দিচ্ছে গেটটিতে। তারপরই স্বামীকে জেরা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। 

এদিকে এরপর আমার শ্বশুরের কাছে স্বামী ফোন করে জানান যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সীমার দাবি আমাদের একটা এফআইআরের কপিও দেওয়া হয়নি। আমাদের আইনজীবী প্রচুর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই কপি মেলেনি। 

এদিকে সীমার দাবি, পুলিশ বলছে আমার স্বামী বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে স্বামী অত্যন্ত সতর্কভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ১৫-২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে স্বামী গাড়ি চালাচ্ছিল। তারপরেও এই পরিস্থিতি। 

সীমা জানিয়েছেন, ওই ইনস্টিটিউট সম্পর্কে স্বামী কিছুই জানতেন না। তিনি রাস্তা  দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই এই পরিস্থিতি।