Jadavpur Student Death: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর এক বছর হতে বাকি কিছুদিন, শুরু হল শোকজের চিঠি ধরানোর পর্ব

সেদিন ছিল ২০২৩ এর ১০ অগস্টের রাত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নবাগত এক ছাত্রের। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু মাস। আর কয়েকদিন বাদেই সেই মর্মান্তিক মৃত্যুর এক বছর সম্পন্ন হতে চলেছে। ব়্যাগিং ঘিরে অভিযোগ উঠেছিল সেই মৃত্যুতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তার অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্তে। এবার সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শোকজের চিঠই ধরানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে নবাগত ছাত্র মৃত্যুর ব়্যাগিং এর অভিযোগ ছিল। সেই ঘটনার ৬ মাসেরও বেশি সময় যাওয়ার পর এবার বিশ্ববিদ্যাল, অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষী ছাত্রদের শোকজের চিঠি ধরিয়েছে বলে জানালেন উপাচার্য। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন,’অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কয়েক জনকে শো-কজ় করা হয়েছে।’ তিনি জানান, ‘চিঠি ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’ বেশ কিছু রিপোর্টে সূত্রের খবরে দাবি করা হয়েছে, ওই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াড ৫ জন ছাত্রকে চারটি সেমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মত নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপও। এছাড়াও একটি সেমেস্টারের জন্য ২৫ জন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরাও সারা জীবনের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা বিভাগের এক পড়ুয়াকে সতর্ক করতে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়, যদিও তিনি ব়্যাগিং কান্ডে জড়িত নন বলে খবর। ‘আনন্দবাজার পত্রিকার’ খবর অনুযায়ী, ফেটসু-র নেতা সৈকত শিট এবং গৌরব দাসকে সারা জীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সৈকত ও গৌরব প্রাক্তনী এখন। আলোচনায় এসেছে ফেটসুর প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারের নামও।

যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় জানিয়েছেন, যে ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব়্য়াগিং নিয়ে শোকজের নোটিস পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা হস্টেলে না থাকলে, তাঁদের বাড়িতে চিঠই পাঠানো যেতে পারে। বাকি ছাত্রদের সুপারের মাধ্যমে হস্টেলে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শো কজের জবাব দেওয়ার সময় পাবেন ছাত্ররা। আপাতত কাউকে হস্টেল ছাড়তে হবে না বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, এরই মাঝে মেইন হস্টেলে সদ্য ছাত্র হেনস্থার ঘটনা ঘিরে নানান অভিযোগের পাশাপাশি ক্ষোভও বাড়ে। এদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হেল্প ডেস্কে গত বছরের ব়্যাগিং কাণ্ডে অভিযুক্ত একজনকে দেখা গিয়েছে বলেও আলোচনা চলছে জানাচ্ছে মিডিয়ার রিপোর্ট। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির রিপোর্টে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের অনেকেই পুলিশি হেফাজতে।