TMC MLA on Muslim children birth: ‘৯০% মুসলিমের ৪টে, ৫টা, ৬টা সন্তান’, জনবিন্যাস বদলের ‘কারণ’ বললেন তৃণমূল বিধায়ক

মুসলিম পরিবারে জন্মহার বেশি হওয়ার জন্য জনবিন্যাস পালটে যাচ্ছে। এমনই দাবি করলেন ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি দাবি করেছেন যে মালদা এবং মুর্শিদাবাদে অনুপ্রবেশকারীদের বসবাস খুবই কম। এক কোটির মধ্যে হয়তো এক বা দু’জন অনুপ্রবেশকারীকে খুঁজে পাওয়া যাবে। ফলে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য যে মালদা এবং মুুর্শিদাবাদের জনবিন্যাস পালটে যাচ্ছে, সেরকম তত্ত্ব মোটেও সঠিক নয়। বরং মুসলিম পরিবরের জন্মহার বেশি থাকার হওয়ার জন্যই জনবিন্যাস পালটে যাচ্ছে। ৯০ শতাংশ মুসলিম মহিলা বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন বলেও দাবি করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। যদিও ভরতপুরের বিধায়কের সেই মন্তব্যকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূলই। বরং রাজ্যের শাসক দলের দাবি, হুমায়ুন যা বলেছেন, সেটার সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনও মিল নেই। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বেড়ে ৯৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।

‘কোটিতে ১-২ জন হয়ত অনুপ্রবেশকারী’

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের কারণে জনবিন্যাস পালটে যাচ্ছে এবং মালদা-মুর্শিদাবাদকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (বিহারের আরারিয়া, কিষানগঞ্জ ও কাটিহার এবং ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনাকে মিলিয়ে) গঠনের জন্য যখন দাবি তুলেছে গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, সেই আবহেই বুধবার বিধানসভার বাইরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানান, এক কোটি মানুষের মধ্যে মেরেকেটে এক থেকে দু’জন অনুপ্রবেশকারী থাকতে পারেন। যাঁরা মালদা এবং মুর্শিদাবাদে রাজনীতি করেন, তাঁরা খুব ভালোভাবেই সেই বিষয়টি জানেন। তাঁরা কেউই এরকম অনুপ্রবেশকারীকে পাননি। আর যদি অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে, সেটার দায় কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে বর্তায় বলে অভিযোগ করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

আরও পড়ুন: WB Cyclonic Circulation Rain Forecast: বৃহস্পতিতে প্রবল বৃষ্টি ১৬ জেলায়, জারি সতর্কতা, ঘূর্ণাবর্ত-অক্ষরেখায় ভাসবে বাংলা

‘১০ শতাংশ মুসলিম মহিলা হাসপাতালে যান’

তারপরই জনবিন্যাস পালটে যাওয়ার ‘আসল’ কারণ নিয়ে মুখ খোলেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইসলাম ধর্মের লোক তো। আজও ইসলাম ধর্মের যে মহিলাদের বিয়ে হয় এবং সন্তান হওয়ার সময়, তাঁদের ১০ শতাংশ ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো (কাজ করেন)।’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ করেন যে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ১০ শতাংশ মুসলিম মহিলা হাসপাতালে যান এবং সন্তান প্রসব করেন।

আরও পড়ুন: GST on Life and Health Insurance: বিপদ থেকে বাঁচতেও GST? জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামকে ছাড় দিন, আর্জি গডকড়ির

‘কারও চারটে, কারও পাঁচটা, কারও ছ’টি সন্তান’

কিন্তু ৯০ শতাংশ মুসলিমদের ক্ষেত্রে সেটা হয় না বলে দাবি করেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘৯০ শতাংশ মা-বোনেরা এখনও বাড়িতে সন্তান প্রসব করেন। কারও চারটে, কারও পাঁচটা, কারও ছ’টি সন্তান হয়। আমরা যখন জন্মেছিলাম, তখন আমার বাবার আট সন্তান হয়েছিল। আমরা পরপর ভাই ছিলাম। আমি ভাইদের মধ্যে সবথেকে ছোটো ছিলাম। আমার দাদার বয়স ৭৭।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে তাঁর দুই সন্তান আছে। তাঁর মেয়েরও দুটি সন্তান রয়েছে। আর ছেলের স্ত্রীও সন্তানসম্ভবনা বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন।

আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিকের মাঝে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে জাপটে চুমু ফ্রান্সের মহিলা ক্রীড়ামন্ত্রীর! ‘ফ্রেঞ্চ’ দের Kiss চর্চায়