বাড়ির সুইমিং পুল থেকে ভ্যানিশ কচ্ছপ, আবার জামালের দুয়ারে বনকর্মীদের হতাশা

কদিন আগেই ধৃত জামাল সর্দারের বাড়ির সুইমিং পুলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল বিরল কচ্ছপ। আর তা উদ্ধার করতেই আজ, বৃহস্পতিবার জামাল সর্দারের বাড়িতে হাজির হলেন বন দফতরের অফিসাররা। কিন্তু কোথায় সেই বিরল কচ্ছপ?‌ চিরুণী তল্লাশি করেও খোঁজ মিলল না সেই বিরল কচ্ছপের। উধাও হয়ে গিয়েছে সোনারপুরের ‘দামাল’ জামাল সর্দারের কচ্ছপ। আর তাই আজও খালি হাতে ফিরলেন বন দফতরের অফিসাররা। আগেও দু’‌বার কচ্ছপ উদ্ধার অভিযানে জামালের বাড়িতে যান তাঁরা। তখনও উদ্ধার করা যায়নি প্রাসাদোপম বাড়ির সুইমিং পুল থেকে কচ্ছপ। এখন জেলবন্দি জামাল। তাঁর অনুপস্থিতিতে মিলল না কচ্ছপ!‌ এটাই ভাবাচ্ছে বন দফতরকে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার জাল নিয়ে জামালের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন জলাশয় ফাঁকা। জুলাই মাসে সোনারপুরের ‘জমি হাঙর’ জামালের কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে। এই এলাকার জমি কেনাবেচা থেকে শুরু করে দাম্পত্য কলহ অথবা পারিবারিক সমস্যা সবেরই সমাধান জামাল সর্দার। সোনারপুর থানার পুলিশের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর তাই ভয় দেখিয়েই এলাকায় দাপট দেখাত জামাল। বাড়িতে রীতিমতো বসত সালিশি সভা। সেখানেই চলত বিচার। জামালই বিচারক। যাঁরা তার এই প্রস্তাবে রাজি হতেন না তাঁদের উপর অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন:‌ সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ১২টন ইলিশ, সপ্তাহান্তে সুলভে মিলবে বাজারে

অন্যদিকে জামাল জেলে থাকার পরও কচ্ছপ উধাও হয়ে গেল। এই ঘটনা থেকে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে জামালের বাড়িতে অন্য কারও প্রবেশ আছে?‌ এই অন্য ব্যক্তিই কি জামালকে বাঁচাতে কচ্ছপ সরিয়ে ফেলেছে?‌ এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জুলাই মাসে সোনারপুরের জামালের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসীরা। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। জামালের বাড়ির ভিতর–বাইরে মিলিয়ে মোট ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। বাড়ির মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল। সেই সুইমিং পুলেই থাকত কচ্ছপ। যা পেলেন না বন দফতরের কর্মীরা।

এছাড়া গত ১৯ জুলাই সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জামালের সাঙ্গপাঙ্গ হিসাবে পরিচিত আরব, আলম, কুরবান এবং সিরাজুলকে প্রথমে আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে জামালের খোঁজ। কচ্ছপ বাড়িতে পোষা বেআইনি বলেই আগে জামালের বাড়িতে যায় বন দফতর। প্রথমদিন তালাবন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। আর যখন পারলেন ওই বাড়িতে ঢুকতে তখন ভ্যানিশ কচ্ছপ। কোথায় গেল কচ্ছপ?‌ ভাবাচ্ছে বন দফতরের অফিসারদের।