Firhad Hakim: ঢালাও পরিষেবা দিয়েও কেন শহরাঞ্চলে পিছিয়ে গেল তৃণমূল? একাধিক পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ

এবারের লোকসভা ভোটে বাংলার গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের জয়যাত্রা কেউ আটকাতে পারেনি। একেবারে ঢালাও ভোট পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বাংলার একাধিক শহরাঞ্চল রয়েছে যেখানে ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির। এমনকী বীরভূমের একাধিক পুর এলাকাতে ভালো ভোট পায়নি তৃণমূল। ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন শহরের মানুষ এভাবে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন সেটা বড় প্রশ্ন। এবার এনিয়েই কাটাছেঁড়া করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। 

মঙ্গলবার বীরভূম লোকসভার সিউড়ি পুরসভার প্রতিনিধিদের নিয়ে টাউন হলে পর্যালোচনা বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। তবে সবথেকে বড় বিষয় হল পুর এলাকায় নানা পরিষেবার উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে পুরদফতর। কিন্তু তারপরেও ভোট মেলেনি প্রত্যাশামতো। একাধিক পুরসভায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এটা যথেষ্ট উদ্বেগের। 

সূত্রের খবর, শহরাঞ্চলে দলের মধ্য়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সরব হন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়ে দেন, সিউড়ি পুরসভায় ৬২০০ ভোটে হার হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাটিও স্বীকার করে নেন তিনি। সেক্ষেত্রে যাবতীয় দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠন মেনে চলতে হবে। সংগঠন না মানলে দলে থাকা যাবে না। 

এদিকে এত পরিষেবার দেওয়ার পরেও কেন শহরের মানুষের মন জয় করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এদিকে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাতে কাউন্সিলররা চলেন সেব্যাপারে বলা হয়েছে। বিকাশ রায়চৌধুরীর কথা শুনে চলার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু সিউড়়ি নয়, রামপুরহাট,বোলপুর পুরসভা এলাকায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়েও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ফিরহাদ হাকিম। কিছুদিন পরেই সিউড়িতে যাবেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে তিনি ৮৩ কোটি টাকার জলপ্রকল্প উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে বীরভূমের একাধিক পুরএলাকার ভোটের হার নিয়ে তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার গ্রামাঞ্চলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যপক প্রভাব পড়েছে। প্রান্তিক মানুষদের একটা বিরাট অংশ তৃণমূলের পাশে থেকেছে। অন্যদিকে  শহরাঞ্চলে তুলনায় সচেতন ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলের দিক থেকে নানা কারণে সরে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে। তবে গ্রামের মানুষের বেশিরভাগ শাসকদলের পাশেই রয়েছেন।