প্রণয়ের সম্পর্কে মেনে না নেওয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মা-কে খুনের অভিযোগ দত্তক কন্যার বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানালে বাবাকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় কিশোরী। প্রতিবেশীদের উদ্যোগে প্রায় ২ মাস পরে সোমবার প্রকাশ্যে আসে সেই ঘটনা। ওই ঘটনায় দত্তক কন্যা, তার প্রেমিক ও এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন – ‘অমুসলিমরা দুর্ভাগা’ মন্তব্যের জন্য বিধানসভার অন্দরে ফিরহাদকে বয়কটের ডাক দিল BJP
পড়তে থাকুন – ‘অমুসলিমরা দুর্ভাগা’ মন্তব্যের জন্য ফিরহাদকে আইনি চিঠি,ক্ষমা না চাইলেই হবে মামলা
ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠাকুরপুকুরের পল্লিমঙ্গল কলোনির। নিহত রিতা সান্যালের স্বামী বাদল সান্যালের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিঃসন্তান দম্পতি বাদল ও রীতা বহু বছর আগে একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন। দেড় বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের পরিচয় হয়। প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দু’জনের। কিন্তু এত কম বয়সে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ানোয় দত্তক মেয়েকে মাঝে মাঝেই বকাবকি করতেন মা। সেই ক্ষোভে মা-কেই খুন করার পরিকল্পনা করে নাবালিকা।
গত ৬ জুন প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে সে। এর পর বিছানার ওপর রিতাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই যুবক। বাদলবাবু তখন ঘটনাস্থলেই ছিলেন। এর পর বৃদ্ধ বাদলবাবুকে নাবালিকা হুমকি দেয়, এই খুনের কথা কাউকে জানালে তাঁরও একই পরিণতি হবে। এর পর স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে রিতাদেবীর ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করে ১৪ বছর বয়সী নাবালিকা। সেই ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করে দেয় রিতাদেবীর দেহ।
আরও পড়ুন – নীতি আয়োগের বৈঠক-রঙ্গ নিয়ে বিধানসভা উত্তাল, ওয়াক আউট BJPর, শংকর বললেন ফিরহাদের..
পালিতা কন্যার হুমকির মুখে ২ মাস মুখ বন্ধ করে ছিলেন বাদলবাবু। সোমবার তিনি ঘটনার কথা প্রতিবেশীদের জানান। তিনি বলেন, ঘটনার কথা জানালে খুনের হুমকি দিয়েছিল মেয়ে। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সে। সেই টাকা না দিলেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল সে ও তার প্রেমিক। সোমবার ঘটনার কথা থানায় জানান প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে বাদলবাবুর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পালিতা কন্যা, তার প্রেমিক ও ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছে, ‘আমাকে ভয় দেখাতে হবে বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল প্রেমিকা। কিন্তু সেখানে গেলে আমাকে বলে গলা টিপে মেরে ফেল।’