অবাধ্য শিশুকে শায়েস্তা করতে দারুন ট্রিক মহিলার, পোস্ট দেখে হেসে খুন সকলে

রাস্তাঘাটে অনেক শিশুকেই দেখবেন, কোনও জিনিস বা খেলা কেনার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে ভীষণভাবে। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। ছেলেমেয়েদের জেদের কাছে শেষ পর্যন্ত হেরে যেতে বাধ্য হন পিতা-মাতা। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হল, যা দেখে হেসে খুন হলেন সকলে।

সম্প্রতি কীর্তি নামক এক মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মোমোর ছবি পোস্ট করেছেন, যেটি তিনি একটি রেস্তোরাঁয় বসে তুলেছিলেন। মোমোর ছবিটি ভীষণ সাধারণ কিন্তু ক্যাপশনে যে কথাগুলি লেখা আছে তা দেখে রীতিমতো হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছেন সকলে। কিন্তু কী লিখেছেন কীর্তি?

কীর্তি লিখেছেন, ‘আমি যখন এই ছবিটি ক্লিক করছিলাম তখন একটি বাচ্চা যার বয়স মোটামুটি দুই থেকে তিন বছর হবে, সে আমার কাছে আসে। আমার ফোনের দিকে ইশারা করে বলে, আমাকে দেখাও। আমি তখন তাকে হেসে বলি, অন্য কারোর ফোন এই ভাবে দেখা উচিত নয়। কথাটা খুব হাসিমুখেই বলি।’

(আরও পড়ুন: নয়নতারার পোস্ট ঘিরে তৈরি বিতর্ক, পরিস্থিতি সামলাতে এই কাজ করলেন অভিনেত্রী)

‘বাচ্চাটিকে ওই কথাটি বলার পরেই হঠাৎ করে বাচ্চাটি চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে দেয়। বাচ্চাটির কান্না দেখে সেখানে বাবা-মা চলে আসে। তারা আমায় জানায়, বাচ্চাটিকে ছবিটি দেখাতে না হলে সে আরও বেশি কাঁদবে। এই কথা শুনে আমিও চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে দিই। বাচ্চাটি যত জোরে কাঁদে তার থেকেও বেশি জোরে আমি কাঁদতে শুরু করি।’

‘আমার কান্না দেখে বাচ্চাটি কান্না থামিয়ে দেয়, বাবা মা হঠাৎ অবাক হয়ে গিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। এরপর যতক্ষণ আমি সেখানে ছিলাম ততক্ষণ একটা কথাও শুনতে পাইনি ওনাদের। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছেন কিন্তু যখনই আমি তাঁদের দিকে তাকাই সঙ্গে সঙ্গে মুখ ঘুরিয়ে নেন।’

এই পোস্টটি ইতিমধ্যেই ৪.৫ লক্ষের বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন এবং লাইক করেছেন প্রায় ৬০০০ – এর বেশি মানুষ। কীর্তির বুদ্ধির প্রশংসা করে একজন লিখেছেন, ‘খুব ভালো শিক্ষা দিয়েছো।’ একজন লিখেছেন, ‘সন্তান যদি বাবা-মায়ের থেকে সঠিক শিক্ষা পায় তাহলে আর এমন ঘটনা ঘটে না।’

(আরও পড়ুন: অদ্ভুত ভাইরাসে ব্রাজিলে মৃত্যু দুজনের, জানুন এই রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত)

অন্য একজন লিখেছেন, ‘আপনি ভীষণ ভালো কাজ করেছেন। আপনার এই কাজ ওনাদের সারা জীবন মনে থাকবে।’ আবার একজন লিখেছেন, ‘আমি তো ভেবেই হেসে মরে যাচ্ছি। দুর্দান্ত।’ আবার একজন লিখেছেন,’আপনি ওই বাচ্চাটির ছবি দিতে পারতেন, তাহলে আমরাও আপনার সঙ্গে পরিস্থিতিটা বোঝার চেষ্টা করতাম।