Anti encroachment drive: বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পর পর দোকান, হাতও পড়ল না TMC-র পার্টি অফিসে

উচ্ছেদ অভিযানে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দখল করা পুরসভার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার নাগাড়ে বৃষ্টির মধ্যে বর্ধমান শহরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুরসভা ও প্রশাসন। অভিযোগ, অভিযানে রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলি বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও বেআইনিভাবে জমি দখল করে গজিয়ে ওঠা তৃণমূলের পাকা পার্টি অফিসটিকে ছোঁয়া পর্যন্ত হয়নি। এদিনের উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হন বিক্রেতারা। তবে তাদের পুনর্বাসনের কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেননি পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার।

আরও পড়ুন – শিল্প-কারখানা তৈরির জন্য ১ টাকায় জমি সৌরভকে, জনস্বার্থ মামলায় বড় রায় হাইকোর্টের

পড়তে থাকুন – হামলা সত্ত্বেও সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখলেন মহিলা BSF কনস্টেবল

 

বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড় সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুরসভা। পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স নিয়ে ময়দানে নামে পুরসভা। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন SDPO ও পুরপ্রধান। বুলডোজার দিয়ে একে একে ভাঙা হয় রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানগুলি। তবে সেখানেই বেআইনিভাবে ফুটপাথ দখল করে গজিয়ে ওঠা তৃণমূল পার্টি অফিসটিকে স্পর্শ করা হয়নি।

রুটি – রুজির উৎস হারিয়ে এদিন পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্রেতারা। ভাঙা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে এক খাবার বিক্রেতা বলেন, আমার ঋণ নেওয়া আছে। তার কিস্তি কি বর্ধমান পুরসভা দেবে? আমার বউয়ের সোনা বন্ধক রাখতে হলে তা কি পুরসভা ছাড়াবে? আমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বর্ধমান পুরসভার সামনে গিয়ে শুয়ে থাকব। আমরা কিচ্ছু চাইনি। পরিশ্রম করে খাওয়ার জন্য এক টুকরো জায়গা চেয়েছিলাম। সেটা না দিয়েই আমাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হল। হকারদের দাবি, টাকা নিয়ে ফুটপাথে হকার বসিয়েছিল তৃণমূল নেতারা। এখন সেই তৃণমূল পুরসভাই হকার উচ্ছেদ করছে।

পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, সরকারি নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। হকারদের পুনর্বাসনের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন – বাড়ির সুইমিং পুল থেকে ভ্যানিশ কচ্ছপ, আবার জামালের দুয়ারে বনকর্মীদের হতাশা

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই সরকারি জমি দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। এর পর কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে শুরু হয় হকার উচ্ছেদ। লোকসভা ভোটে শহরাঞ্চলে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের চোখের সামনে কী ভাবে সরকারি জমি দখল হয়ে গেল সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।