Dengue-Malaria: নামেই অভিজাত আবাসন! মশা মারতে ঢুকতে পারছেন না পুরকর্মীরাও, এবার আসছে কড়া দাওয়াই

বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার সময়। জমা জলে মশার লার্ভা জন্মায়। বাড়তে থাকে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে শুধু বাইরের জমা জলেই নয়, মশার লার্ভা হতে পারে বাড়ির ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা জলে কিংবা ফুলদানির জলেও। এদিকে পুরসভার নিয়োজিত কর্মীরা বহু ক্ষেত্রেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই জমা জল নিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেন। কিন্তু কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, একাধিক অভিজাত আবাসনে প্রবেশ করতে পারছেন না পুরকর্মীরা। এই অভিজাত আবাসনের বিভিন্ন রুমে ফুলদানিতে কিংবা ফ্রিজের পেছনে জল জমছে কি না সেটা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। গেটের সামনে থেকেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছেন। এনিয়ে এবার উদ্বেগ ছড়িয়েছে। 

মেয়র পারিষদ( স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ শুক্রবার জানিয়েছেন, নিম্নবিত্ত পাড়া কিংবা ছোট বাড়ি ফ্ল্যাট নয়। দেখা যাচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলি থেকেই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এই সমস্ত আবাসনে কর্মীদের ঢুকতে দেয় না। তার জন্য় আমরা ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছি। জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য)।

তবে এবার ওই আবাসনে প্রবেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করবে পুরপ্রশাসন। আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আবাসনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারিকে এনিয়ে চিঠি পাঠানো হবে। তাদের ইমেল আইডি, ফোন নম্বর জোগাড় করা হচ্ছে। তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। মূলত তাদেরকে জানানো হবে যাতে আবাসনে প্রবেশ করতে পারেন পুরকর্মীরা। আবাসনগুলির কোথাও মশার আঁতুরঘর হয়ে রয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। সেক্ষেত্রে দরকার সেই আবাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি। 

এদিকে প্রতিবছরই বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময় মশার উৎপাত বাড়তে থাকে। এর সঙ্গেই বাড়তে থাকে মশাবাহিত রোগ। তবে অভিজাত আবাসনে কেন এই মশা রোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় না, তথাকথিত অভিজাত আবাসনে থেকেও কেন তারা মশা রোধ করা নিয়ে সচেতন নন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 

এসবের মধ্য়েই কলকাতায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের বাড়ি বেহালার শখের বাজারে। ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে বিষ্ণুপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাকে টালিগঞ্জের এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে। কারণ ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়লে সমস্যায় পড়তে পারেন আমজনতা। তবে দিন কয়েক আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়নি। তবে এনিয়ে খবর সামনে আসতেই নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে ডেঙ্গু নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটা উদ্বেগ রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল ম্যালেরিয়াজনিত উদ্বেগ। সেক্ষেত্রে এখনই সাবধান না হলে সমস্যা হতে পারে।

কেবলমাত্র রাতের বেলাতেই নয় দিনের বেলাতেও মশারি ব্যবহার করা যেতে পারে। জমা জলে কোথাও যাতে মশা না জন্মায় সেটা দেখা দরকার। বর্ষাকালে সাধারণত দেখা যায় যে বার বার বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় জল জমে। সেই জমা জলে মশার লার্ভা জন্মাতে পারে।