বিনা চিকিৎসায় ভবঘুরের মৃত্যুর অভিযোগ, কাঠগড়ায় আরজি কর হাসপাতাল, তদন্তে পুলিশ

আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে এক ভবঘুরের মৃত্যু নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর হাসপাতাল চত্বরে একজন ভবঘুরে মারা গেল কেউ দেখতে পেল না!‌ অবাক হচ্ছেন অনেকেই। তাহলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আজ, শনিবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের আউটডোরের বাইরে ওই ভবঘুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও মৃত ব্যক্তির নাম–পরিচয় জানা যায়নি। তবে বিনা চিকিৎসায় ওই ভবঘুরের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমন অমানবিক ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্য কয়েকজন ভবঘুরেদের সঙ্গে মৃত ব্যক্তিও হাসপাতালের সামনে থাকতেন। তাঁর পায়ে একটা সমস্যা ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরায় অসুবিধা ছিল। ওই ভবঘুরেদের এই হাসপাতালেই চিকিৎসা করানো হয়ে থাকে। পায়ের চিকিৎসা করা হলেও তাতে লাভ হয়নি। এখানেই থাকতেন ওই ভবঘুরে। মানুষের কাছে চেয়ে খাবার খেতেন। তবে শরীর খারাপ ছিল বলে জানা যায়নি। যদিও বারবার হাসপাতালে যেতে দেখা গিয়েছিল ওই ভবঘুরেকে। এদিন বেলার দিকে ভবঘুরের দেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে টালা থানার পুলিশ। তবে এই ব্যাপারে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

আরও পড়ুন:‌ ভরা বর্ষায় দিঘায় নামল পর্যটকদের ঢল, ঝড়বৃষ্টিতে উত্তাল সমুদ্র, কড়া নজর প্রশাসনের

পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে আরজি করের আউটডোরের সামনের সিঁড়িতে ওই ভবঘুরেকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে আসেন। শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই ভবঘুরে আরজি করের আউটডোরের সামনে ঘোরাফেরা করছিলেন। শুক্রবারও তাঁকে আউটডোরের সামনে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। হয়তো চিকিৎসা পেতেই ওখানে বসেছিলেন। কিন্তু কাউকে বলতে পারেননি। যদিও এটা প্রাথমিক অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সব সামনে আসবে।

তাছাড়া এই সরকারি হাসপাতালে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার রোগী আসেন। তাঁদের পরিজনরা এখানে এসে বসে থাকেন। তাই সহজে কোনও একজন ব্যক্তির উপর নজর পড়া কঠিন। যদি তিনি নির্দিষ্ট বিভাগে আসতেন তাহলে নিশ্চয়ই চিকিৎসা পেতেন। এখন সরকারি হাসপাতাল অনেক উন্নত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবার দিক থেকে। তবে সেটা না ঘটলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া কঠিন বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও এখন স্থানীয়দের একাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, মৃত ভবঘুরের পরিচয়ের খোঁজে রাজ্যের প্রত্যেকটি থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে।