ডেঙ্গি ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

বর্ষায় ডেঙ্গি রোগের প্রকোপ বাড়ে। কারণ জমা জলে তৈরি হয় মশার লার্ভা। তা থেকেই ছড়িয়ে পড়ে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি। এখন ভরা বর্ষা শুরু হয়েছে। তাই চারিদিকে জল জমতে শুরু করেছে। তাই আবার মশাবাহিত রোগের উৎপাত যে বাড়বে তা বলাই যায়। এখনের সময়টায় ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই এখন থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর হয়ে উঠল কলকাতা পুরসভা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন সব থেকে খারাপ অবস্থা মালদা এবং মুর্শিদাবাদে। এই আবহে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায় তার জন্য রাজ্যের সবকটি পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী ৮ অগস্ট বৈঠক হবে।

এদিকে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম আজ, শনিবার জানান, এবার বর্ষা অনেক দেরিতে এসেছে। তাই মশাবাহিত রোগের সংখ্যা এখন অনেকটাই কম। যদিও মফঃস্বলে অনেক বহুতল গড়ে উঠছে। সেখানে বাড়ির ছাদ বা অন্যান্য জায়গায় জমা জলের জেরে মশার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিচ্ছে। ওই জায়গাগুলিতে যাতে কলকাতা পুরসভার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের আবাসন কমিটিগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। যাতে ডেঙ্গি শুরু থেকেই মোকাবিলা করা যায় তাই সাহায্য চেয়েছেন বালিন্দাদের কাছ থেকে। মশা মারতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ সন্দেশখালিতে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, দ্রুত উন্নয়নের কাজের বার্তা

অন্যদিকে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যেহেতু দেরিতে বর্ষা এসেছে তাই বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসনের কাছে। যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়। তাই এবার কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান এবং মেয়রদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকলেন রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী বলেন, ‘‌আগামী ৮ অগস্ট ডেঙ্গি ইস্যুতে সব পুরসভাকে নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে। তাতে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন এবং তাঁরাই পরামর্শ দেবেন। সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যানদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।’‌

এছাড়া ডেঙ্গি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ম্যালেরিয়া ঘরে ঘরে হতে শুরু করেছে। সেটা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। গোটা বিষয়টিতে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‌মশার আঁতুরঘরগুলি আগের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। ডিম এখন অন্য জায়গায় পাড়ে। তাই এই আঁতুরঘরগুলি ধ্বংস করা খুব প্রয়োজন। কেমন করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে কলকাতায় আগের মতো জল জমতে দেখা যায় না। অতিবৃষ্টিতেও আগের মতো আর জল জমছে না। জমলেও তা দ্রুত নেমে যাচ্ছে। নিকাশি বিভাগ সুন্দরভাবে কাজ করেছে।’‌