সন্দেশখালিতে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, দ্রুত উন্নয়নের কাজের বার্তা

লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সন্দেশখালি ইস্যু ছিল বিজেপির কাছে হটকেক। এই সন্দেশখালিকে সামনে রেখে ভোট বৈতরণী পার করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এই জায়গাটি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। যে কেন্দ্রটি হেরেছে বিজেপি। তারপর থেকে আর দেখা যায়নি বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্রকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষের কাজ করতে রাস্তায় আছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। এই প্রেক্ষাপটে আজ, শনিবার সন্দেশখালিতেই হয়ে গেল প্রশাসনিক বৈঠক। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

যখন সন্দেশখালি জ্বলছিল তখন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক। তখন থেকেই সন্দেশখালির দায়িত্বে সুজিত বসু। পার্থ ভৌমিক এখন সাংসদ। তাই নয়াদিল্লিতে বাংলার মানুষের আওয়াজ তুলতে ব্যস্ত। এই আবহে শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। বৈঠকে সুজিত বসুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি ১ এবং ২ ব্লকের বিডিও, বসিরহাটের পুলিশ সুপার, পঞ্চায়েত প্রধান এবং জেলা প্রশাসনের অফিসাররা। বৈঠকে যোগ দেন, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। এই বৈঠকে সন্দেশখালির উন্নয়ন, নদী বাঁধ মজবুত করার পরিকল্পনা এবং মানুষের স্বার্থে কাজের বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন:‌ দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেখলেন ওয়েনাড়ের হাহাকার, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট অনুভূতি

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য–রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এখানের শাহজাহান শেখের বাড়িতে ইডি অফিসারদের আসা এবং তাঁদের উপর হামলা প্রথমে হিংসার আগুন জ্বালায়। তারপর শাহজাহানের বিরুদ্ধে ওঠে জমি দখলের অভিযোগ। বিজেপি এখানে নারী নির্যাতনের মারাত্মক অভিযোগ তুলে সরগরম করে দেয় সন্দেশখালি। সামনে আসেন রেখা পাত্র। যাঁকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শক্তিস্বরূপা বলেছিলেন। গ্রেফতার হতে হয় শাহজাহানকে। এরপর কিছুদিনের মধ্যে খেলা ঘুরে যায়। পর পর স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে আসতেই বোঝা যায় গোটা ঘটনাটি সাজানো। তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব করা হয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।

তবে জমি ফেরত দেওয়ার কাজ এখানে হয়েছিল। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, সন্দেশখালির উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সেখানের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরামর্শ দেন মন্ত্রী সুজিত বসুকে। এই বৈঠকের পর সুজিত বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‌সন্দেশখালিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে ইস্যু তৈরি করা হয়েছিল। জাতীয়স্তরে প্রচার করাও হয়েছিল। কিন্তু মিথ্যে প্রকাশ্যে আসতে মানুষ এটাকে ভালভাবে নেননি। আপনারা দেখেছেন, ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন। সন্দেশখালির মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন। সন্দেশখালি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আছে বলেই এই প্রশাসনিক বৈঠক। আমাদের উন্নয়নের কাজগুলি দ্রুত শেষ করতে হবে।’‌