নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে তলব, ইডির ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তুতি

প্রায় একবছর জেলে খেটে জামিনে খোলা আকাশের নীচে এসেছেন। গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আগামী সোমবার আবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ইডি ডেকে পাঠাল। নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে।

এদিকে এই একই মামলায় জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হল বড়ঞার বিধায়ককে। তবে বিধায়ক সোমবার হাজিরা দেবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি তাঁর আইনজীবীকেও পাঠিয়ে দিতে পারেন। এই বিষয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তবে ইডির সমন সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল জীবনকৃষ্ণকে। তবে এখন তিনি জামিনে মুক্ত। সিবিআই মামলাতে জামিন পাওয়ার পরই ইডির তৎপরতা শুরু।

আরও পড়ুন:‌ পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ, ওয়েনাড় থেকে আনা হচ্ছে

অন্যদিকে জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল থেকে যে তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা তাতে টাকা ফেরতের একটা বিষয় সামনে এসেছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। তাই এই ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। সেই সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌এক বছর ধরে তো আর সিবিআই বিধায়ককে জেলে আটকে রাখল। ততদিনে কোনও জেরা করতে পারল না!‌ এখন আবার ইডি তলব করেছে। এটার থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তদন্তের নামে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রীদের হয়রানি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আসলে সর্বোচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছে, সেটা বিজেপির হজম হচ্ছে না। তাই এবার ইডিকে দিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।’‌

এছাড়া ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহার কান্দির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। ১৭ এপ্রিল মাঝরাতে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহার কান্দির বাড়িতে পৌঁছয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করে। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‌জামিনে মুক্ত হওয়া মানেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়া নয়। অভিযোগ থাকলে তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের জন্য ডাকবেই।’‌