4 army jawan murder case update: ভাতিন্ডায় ৪ সহকর্মীকে খুনের অপরাধে সেনা জওয়ানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত বছর পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা সেনা ছাউনিতে গুলি করে ৪ সহকর্মীকে খুন করেছিল এক সেনা জওয়ান। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা জাওয়ান দেশাই মোহনকে জেনারেল কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর আইনের ৬৯ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন: মিলছে না রাইফেল, ২৮ রাউন্ড গুলি! ভাটিন্ডার সেনা ছাউনির শুটআউট নিয়ে কী জানা গেল?

গত বছরের ১২ এপ্রিল উচ্চ-নিরাপত্তাযুক্ত ভাতিন্ডা সেনা ছাউনিতে যে ৪ জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছিল তাঁরা হলে- সাগর বান্নে, কমলেশ আর, সন্তোষ নাগারাল, এবং যোগেশকুমার জে। সকলেই ৮০ মিডিয়াম রেজিমেন্টে ছিলেন। শনিবার কর্নেল এস দুসেজার সভাপতিত্বে কোর্ট মার্শালের তরফে দেশাইয়ের সাজা ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, দেশাই যখন ৪ সহকর্মীকে গুলি করে তখন তাঁরা সকলে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় যৌথ তদন্তে নামে ভাতিন্ডা জেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে ১৯টি গুলির খোল উদ্ধার হয়। 

যদিও প্রথমে খুনের কথা স্বীকার করেনি মোহন। সে দাবি করেছিল, যে তিনি ঘটনাস্থলে সাদা কুর্তা ও পায়জামা পরা দুজন মুখোশ পরা ব্যক্তিকে দেখেছিলেন।

পরে রেজিমেন্টের মেজর আশুতোষ শুক্লার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি নথিভুক্ত করে পুলিশ। তিনি মোহনের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ করেছিলেন যে দুজন আততায়ী আইএনএসএএস রাইফেল এবং কুড়ুল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। একইসঙ্গে অভিযোগ করা হয়, সেনা ছাউনি থেকে একটি ইনসাস রাইফেল এবং ২৮টি কার্তুজ সহ একটি ম্যাগাজিন ৯ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল। হত্যার দিন সেগুলি খুঁজে পায় পুলিশ।

কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিচারের জন্য সেনা আইনের ১২৫ ধারার অধীনে দেওয়ানি আদালত থেকে মামলাটি সেনাবাহিনীর হাতে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে, অন্ধ্র প্রদেশের ওই জওয়ান অভিযোগ করেছিল ওই ৪ জন তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, চার জন তার বাগদত্তার সঙ্গে তার মোবাইল ব্যবহার করে কথা বলতেন। এছাড়াও, তার বাগদত্তার আপত্তিকর ছবি তৈরি করে তাকে উপহাস করত। সেই ক্ষোভেই ওই ৪ জনকে হত্যা করেছিল মোহন। জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভাতিন্ডা সেনা ঘাঁটিতে কোর্ট মার্শাল হচ্ছিল। সেনা বাহিনীর জনসংযোগ আধিকারিক কর্নেল সুধীর চামোলি অবশ্য এনিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।