CV Ananda Bose: ‘রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে,’ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাজ্যপালের, উড়িয়ে দিল TMC

ফের মারাত্মক সংঘাত। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

 রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি কোন রবার স্ট্যাম্প নয়। সংবিধানের রক্ষাকর্তা। ভেঙে পড়েছে রাজ্যের অর্থনীতি। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক রাজ্য়। রাজ্যপালকে তথ্য় দেওয়া বাধ্য়তামূলক। জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। 

এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের উন্নয়নের টাকাও অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে। এনিয়ে একাধিক প্রকল্পের নাম তিনি উল্লেখ করেন। ফিনান্সিয়াল ব্রেক ডাউন হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এজন্য অনেক কারণ রয়েছে। উন্নয়নের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যপালের দায়িত্ব হল এনিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা। মুখ্য়মন্ত্রীর উচিত এই সমস্ত তথ্য রাজ্যপালকে সরবরাহ করা। এটা বাধ্যতামূলক। 

এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত নতুন কিছু নয়। এর আগে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত হয়েছে। 

রাজ্যপাল বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী আমাকে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা নিতে বলেছেন। 

তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে মুখ্য়মন্ত্রী বাধ্য় নন রাজ্যপালকে তথ্য় দিতে। মুখ্য়মন্ত্রী নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাঁকে সহযোগিতা করতে বাধ্য রাজ্যপাল। তিনি বলছেন প্রধানমন্ত্রী অনেক জনহিতকর কাজ করছেন। তিনি বিজেপির হয়েই বলুন এবার। সমস্ত কাজে তিনি নির্বাচিত সরকারকে কীভাবে বিপদে ফেলা যায় তার চেষ্টা করছেন। কীভাবে তাদের সমস্যায় ফেলা যায় তার চেষ্টা করছেন। বিজেপির এজেন্ট হিসাবে তিনি কাজ করছেন। নারীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তাকে যেন সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সিভি আনন্দ বোস সবসময় ভাবছেন মোদী আমায় পাঠিয়েছেন। না সেটা নয়। রাষ্ট্রপতি দ্বারা তিনি মনোনীত। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পাঠাননি। বিজেপির সুরে কথা বলতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর সুরে তাঁকে কথা বলতে হবে। 

তবে বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য়ের সংঘাত নতুন কিছু নয়। এর আগে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত একেবারে মারাত্মক আকার নিয়েছিল। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। এবার একেবারে রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী তিনি জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী এই সংক্রান্ত তথ্য় জানাতে বাধ্য। 

তবে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য় রাজ্য়পালের দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি অর্থনীতি সম্পর্কিত বিষয় রাজ্যপালকে জানাতে বাধ্য নন মুখ্য়মন্ত্রী।