Mousuni Island: একী অবস্থা মৌসুনী দ্বীপে! ভরা কোটালে তছনছ হল পর্যটনকেন্দ্র, শখের কটেজ

দু একদিনের ছুটি পেলে অনেকেই মৌসুনী দ্বীপে যেতে চান। ছোট ছোট রিসর্ট। ছোট ছোট কটেজ। সেখানে সমুদ্রের ধারে থাকার ব্যবস্থা। ক্যাম্পের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে এবার পূর্ণিমার কোটালে সেই মৌসুনী দ্বীপ বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। উপকূল বরাবর গড়ে ওঠা প্রচুর কটেজ এই কোটালের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে। প্রবল ঢেউ এসে আছড়ে পড়েছে পাড়ে। তার জেরে একেবারে তছনছ অবস্থা। 

মৌসুনী দ্বীপের একদিকে রয়েছে চিনাই নদী, একদিকে মুড়িগঙ্গা নদী ও অপরদিকে বঙ্গোপসাগর। সব দিকটাই জল দিয়ে ঘেরা। সেই জলের মাঝে সুন্দর দ্বীপ মৌসুনী দ্বীপ। আয়লা, আমফান, রেমালে বার বার ক্ষতির মুখে পড়েছে এই দ্বীপ। পঞ্চায়েত তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্য়ে কিছু কাজ করেছে। দ্বীপের মধ্য়ে টোটো চলার মতো সংকীর্ণ কংক্রিটের রাস্তা হয়েছে। কিন্তু বহু জায়গায় সেই রাস্তার নীচের অংশও ধসে যায়। 

এদিকে মৌসুনী দ্বীপের কটেজ মালিকদের একাংশ এর আগেও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্ষতির মুখে পড়ছে মৌসুনী দ্বীপের পর্যটনকেন্দ্র।  এই পর্যটনকেন্দ্র গুলিকে বাঁচানোর জন্য বার বার এগিয়ে এসেছেন কটেজের মালিকরা। সেক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার আবেদন করছেন তারা। 

তবে সেই পর্যটনস্থলের বিরাট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হল ভরা কোটালে। এদিকে বকখালির পাশাপাশি এই মৌসুনী দ্বীপে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসেন। সমুদ্রের ধারে নির্জন দ্বীপ। নদী পার হয়ে  পা দিতে হয় মৌসুনী দ্বীপে। এরপর টোটোতে চেপে যেতে হয় কটেজে।  সেখানেই থাকে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। মূলত শীতকালে এখানে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। তাছাড়াও সপ্তাহের ছুটির দিনগুলিকে পর্যটকদের ভিড় একেবারে উপচে পড়ে। তবে কোটালের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই পর্যটনস্থান। পূর্ণিমার কোটালের জেরে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। 

তবে এই এলাকায় পর্যটন স্থল তৈরি নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে। উপকূলের যে নীতি রয়েছে সেটা কতটা মেনে চলা হয় এখানে তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে স্থানীয়দের দাবি, এখানে পর্যটনস্থান হওয়ার পরে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগে এখানকার অনেকেই ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতেন। তারা এখন এখানকার পর্যটনকেন্দ্রের কটেজে কাজ করেন। এখান থেকেই তাদের সংসার চলে। এখানে পর্যটনকেন্দ্র বাঁচলে বাঁচবে প্রচুর পরিবার। 

বাসিন্দাদের দাবি, এখানে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করা দরকার। না হলে বছরের পর বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই মৌসুনী দ্বীপ।