Son killed mother: আলু-ফুলকপির পরিবর্তে ঢ্যাঁড়শ রান্না করায় মাকে খুন! যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ছেলের

আলু-ফুলকপির পরিবর্তে ঢ্যাঁড়শ রান্না করেছিলেন মা। শুধুমাত্র সেই কারণেই বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাকে খুন করেছিল ছেলে। সেই ঘটনায় ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। জানা যায়, রান্না নিয়ে বচসার জেরে মাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিল ওই যুবক। শুধু তাই নয়, ছাদ থেকে রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়ে থাকার সময় মায়ের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সে। তার ফলে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। অভিযুক্ত যুবকের নাম সুরিন্দর সিং। ঘটনাটি পঞ্জাবের লুধিয়ানার নিউ অশোক নগরের।

আরও পড়ুন: ১৪ বছর বয়সী খুড়তুতো দাদার সঙ্গে মায়ের পরকীয়া! কোন পরিণতি সন্তানের?

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর ঘটেছিল। নিহত মহিলার নাম চরণজিৎ কৌর। থানায় ছেলের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন গুরনাম সিং। পুলিশকে তিনি জানান, তার দুই ছেলে। বড় ছেলের নাম কুলতার সিং এবং ছোট ছেলের নাম সুরিন্দর সিং। কুলতার সিংয়ের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। তবে সুরিন্দর সিং অবিবাহিত ছিল। ওই বছরের ১৭ অক্টোবর দুপুর ১ টার দিকে মহিলা দুপুরের খাবারের জন্য ঢ্যাঁড়শ রান্না করেন। রান্নাঘর বাড়ির উপরের তলায়। তখন সুরিন্দর সিং কেন আলু-ফুলকপি রান্না করা হয়নি তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। সেই সময় আচমকা সে মাকে ছাদ থেকে ঠেলে নিচে ফেলে দেয়।

তারপরেও ক্ষান্ত হয়নি যুবক। এরপর নিচে নেমে এসে সুরিন্দর লোহার পাইপ দিয়ে মাকে আঘাত করে। ঘটনায় স্থানীয়রা একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে। পরে সুরিন্দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

দায়রা বিচারক হারপ্রীত কৌর সুরিন্দরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।যদিও সুরিন্দরের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ তার বাবা পুরো সম্পত্তি তার বড় ছেলেকে দিতে চেয়েছিলেন। যদিও তার কোনও প্রমাণ পায়নি আদালত। ফলে এই যুক্তি আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্ত আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ‘অভিযুক্তের অপরাধের জন্য মা ছাড়াও একজন বৃদ্ধা মহিলার জীবন অকালে শেষ হয়ে গিয়েছে।’ এই বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।