পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ, ওয়েনাড় থেকে আনা হচ্ছে

ওয়েনাড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে বিপুল পরিমাণ মানুষ মারা গিয়েছেন। বাংলার ২৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিক কেরলের ওয়েনাড়ে আটকে রয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যেই ১৫৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এবার এই পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধার করে বাংলায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে, ‘‌দিদি আছেন সকলের সঙ্গে, সকলের পাশে।’‌ এই রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ কেরলে কাজ করতে যান। ওয়েনাড়ে ভূমিধসকাণ্ডে চিন্তিত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার।

যদিও ওই পরিবারগুলিকে নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, চিন্তা না করতে। মুখ্যমন্ত্রী সকলকে ওখান থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। কেরলের এই ভয়াবহ ভূমিধস একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেখানে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের দু’‌জন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলেকে ওয়েনাড় পাঠানো হয়েছে। তাঁরা ওখানে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় তা করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে বাংলার যাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক ওয়েনাড়ে আটকে পড়েছেন তাঁরা নিরাপদেই আছেন। এই খবর মিলেছে।

আরও পড়ুন:‌ ছাত্রীর মৃত্যুতে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মামলার পথে হাওড়া পুরসভা, তদন্ত করছে পুলিশ

রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, ওয়েনাড়ে বাংলার পরিযায়ী ২৪২ জন শ্রমিক আটকে আছেন। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর তাঁদের মধ্যে থেকে ১৫৫ জনকে এখন চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। তাঁরা সেখানে সুস্থই আছেন। বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য আছে। করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর তা মারাত্মক আকার নেয় ভারতেও। তখন থেকেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য রাখতে একটা পোর্টাল গড়ে তোলা হয়। সেখান থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকার। আটকে থাকা শ্রমিকদের বেশিরভাগ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের বাসিন্দা।

এছাড়া কেরলের ওয়েনাড় থেকে বাংলায় নিয়ে আসার যাবতীয় দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিয়েছে। আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াতের খরচ রাজ্য সরকারই বহন করছে। এই বিষয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘‌রাজ্যের নানা জেলা থেকে এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কেরলে কাজ করতে গিয়েছিলেন। যেহেতু আমাদের রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতা অনেক বেশি, তাই ভিন রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা ডেটাব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। তার মাধ্যমেই খুব সহজে এদের চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে।’‌