‘দুর্বৃত্তপনা বন্ধে প্রশাসনকে সহযোগিতার’ বার্তা জামায়াতের

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের দেশে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্ঠ নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে যারাই এ দেশে জন্মগ্রহণ করেছে, তারা সবাই এ দেশের নাগরিক এবং সবার অধিকার সমান। আপনারা যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, কঠোর হাতে দমন করবেন। কথা দিচ্ছি প্রশাসনকে আমরা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

দেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আমির আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা সংগঠনের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদেরকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য নিজ নিজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের অঙ্গীকারের কথা পৌঁছে দিয়েছেন। গত রাত থেকেই এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে সব দুর্বৃত্তপনা বন্ধ করা আমাদের সংগঠনের একার পক্ষে সম্ভব নয়।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বরাবর আমরা জোর দাবি জানাবো, তিনি যেন অতি দ্রুত সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পদ্ধতির কাজ শুরু করেন। এবং গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার যেন বিলম্ব না করে অতিদ্রুত একটি অর্থবহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সত্যিকার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে, সেই উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান ও আনম শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, সাবেক এমপি, মাওলানা আবদুল হালিম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির গত রাতেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের সব দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও পুরানা পল্টনের মহানগর কার্যালয়ে প্রবেশ করে। প্রায় ১৩ বছর পর সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াত।