Amit Shah-Arup Chakraborty: জন্মদিনে অরূপকে শুভেচ্ছা শাহের, শুনলেন তৃণমূল সাংসদের মন ভালো না থাকার কারণ

জন্মদিনের সকালে দিল্লি থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। তবে দিল্লি থেকে যে ব্যক্তি ফোন করে অরূপকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি আর কেউ নয়, তিনি হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার সকালে অরূপ চক্রবর্তীকে ফোন করে তিনি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। বিজেপি নেতার কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে অরূপ চক্রবর্তী কিছুটা অবাক হয়েছিলেন ঠিকই, তবে তা কাজে লাগাতেই ভুললেন না তৃণমূল সাংসদ।দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র সরকার রাজ্যের টাকা বকেয়া রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে আসছে শাসক দল। তাই অমিত শাহ ফোন করতেই জন্মদিনের উপহার হিসেবে বকেয়া টাকা চেয়ে বসলেন অরূপ।

আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যে অনুপ্রবেশের অভিযোগ, শাহকে চিঠি লিখলেন তিপ্রা মোথার বিধায়ক

তৃণমূল সংসদ জানান, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লি থেকে ফোন আসে। ফোন ধরতেই একজন বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন। এর পরে অমিত শাহ তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান । বিজেপি নেতার কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অভিভূত হয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। সৌজন্যতা জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা গ্রহণ করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি অমিত শাহকে জানান, তাঁর মন ভালো নেই। কারণ একটানা বৃষ্টিতে বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাই দ্রুত যাতে আবাস যোজনার টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয় সে বিষয়ে অমিত শাহের কাছে অনুরোধ করেন অরূপ চক্রবর্তী। অমিত শাহ অবশ্য টাকা মেটানোর আশ্বাস দেননি। তবে হেসে জানান, এ বিষয়টি দেখা যাবে।

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রটি আগে ছিল বিজেপির দখলে। এখানকার বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার ছিলেন দলের সাংসদ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু, তিনি জিততে পারেননি। অরূপ চক্রবর্তী আছে হেরে যান সুভাষ। আর লোকসভা নির্বাচনের জয়ী হওয়ার পর প্রথম জন্মদিনে অমিত শাহের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পেলেন তৃণমূল সাংসদ।

উল্লেখ্য, রাজ্যে আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এ নিয়ে বারবার কেন্দ্রের কাছে বকেয়া মেটানোর দাবি জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, মেটানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তবে অরূপের বকেয়া চাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অবশ্য দাবি, আবাস প্রকল্পে তৃণমূল নেতারা প্রচুর দুর্নীতি করেছেন। সেই কারণেই টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই তৃণমূল নেতাদের আগে শপথ নেওয়া উচিত যে তারা দুর্নীতি করবেন না। তারপরই বকেয়া মেটানো হবে বলে বিজেপির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।