Dengue data dispute: ‘কেন্দ্রকে সব জানানো হয়েছে’ ডেঙ্গির তথ্য লুকোনো নিয়ে নড্ডাকে জবাব চন্দ্রিমার

বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি কলকাতার বোরোতেই জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গতবারকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তথ্য লুকোচ্ছে বলে সংসদে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও জেপি নড্ডার সেই বক্তব্যের ফুটেজ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। এ নিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ঠেকাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

চন্দ্রিমা প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে সব রকমের তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোনও কিছু লুকানো হয়নি। নতুন করে আর কিছু দেওয়ার নেই। তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা প্রতিদিনই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে কিছু না কিছু বলে থাকে।’ প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নড্ডা অভিযোগ করেছিলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গির কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করছে না। তথ্য লুকানোর কি আছে।’ তার প্রেক্ষিতে এমন জবাব দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও বর্ষা শুরু হতেই প্রতি বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। রাজ্যে এবার বর্ষার দেরিতে আসলেও ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবার আগে থেকেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। পুরসভাগুলিকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভাগুলিকে আরও সতর্ক করতে আগামী ৮ অগস্ট কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রশাসক, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, পুরও ও নগর উন্নয়ন দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা থাকবেন। এছাড়াও কিছু বিশেষজ্ঞ বৈঠকে অংশ নেবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ফিরহাদ বলেছিলেন, এবার বর্ষা দেরিতে এসেছে। ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। পুরসভার তরফে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মেয়র জানান, মূলত ফাঁকা জমি এবং পুরনো বাড়ির কারণে এলাকায় ডেঙ্গি বাড়ছে। মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তবে ডেঙ্গি সংখ্যা কমানো যাবে না।