Sheikh Hasina: গত মে মাসে বিরাট বিদেশি চক্রান্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হাসিনা, কলকাঠি নাড়ল কারা?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর তাতেই দেশ ছেড়ে কার্যত চলে গেলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। গণভবনে ঢুকে পড়ল জনতা। যার যেমন খুশি জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেলেন তাঁরা। তার সঙ্গেই উল্লাস। ঢাকায় শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তির উপরেও উঠে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর কুড়ুল দিয়ে তাতে আঘাত হানেন তারা। এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। 

কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্রপাত। গত মাসে সেই আন্দোলনের শুরু। আর তারপর দেখা গেল সেই আন্দোলনের একেবারে একটাই মাত্র অ্যাজেন্ডা সেটা হল হাসিনার পদত্যাগ। এরপর মার্চ টু ঢাকা। আর তার পরিণতিতে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেন শেখ হাসিনা। 

এদিকে একাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক যেমন আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো অপারেশন ও আরব পার্লামেন্টের তরফে বলা হয়েছিল বাংলাদেশে যে ভোট হয়েছে তা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্যাপারটা মানতে চায়নি। তারা জানিয়েছিল এই নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি। 

এদিকে বর্তমানে অনেকে বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির জন্য বিদেশি শক্তির  হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন। কারণ গত কয়েকবছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিকঠাক ছিল না। এমনকী সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে মোটামুটি মাস দুয়েক আগে শেখ হাসিনা দাবি করেছিলেন যে একটি শ্বেতাঙ্গ দেশ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। 

ক্ষমতায় ফিরে আসার পরেই তিনি দাবি করেন যে বিদেশি চক্রান্ত হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। হাসিনা গত মে মাসে দাবি করেছিলেন, দেশের মধ্য়ে একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে যদি এয়ার বেস তৈরিতে সম্মতি দিই তবে অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেবে তারা। বাংলাদেশের ডেইলি স্টার শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে যদি একটি নির্দিষ্ট দেশকে এয়ারবেস করতে দিই তবে আমার কোনও আর সমস্যা থাকবে না। তবে কোন দেশ তাঁকে এই অফার দিয়েছিল তা তিনি সেই সময় জানাননি। খালি বলেছিলেন, এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাঁকে এই অফার দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন একারনেই তার সরকার সবসময় সমস্যায় থাকে। আরও সমস্যা তৈরি হবে। কিন্তু উদ্বেগের কিছু নেই। 

আর সেই অফার সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি পরিষ্কার বলেছি, আমি বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা। আমরা আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ জিতেছি। আমি আবার আমাদের দেশের একাংশকে ভাড়া দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাই না।