ভারতের অর্ধেক জনসংখ্যা শারীরিকভাবে সক্রিয় নন, উদ্বেগজনক তথ্য জানালেন গবেষকরা

ভারতের জনসংখ্যা যে প্রতিনিয়ত কিছু কিছু করে বেড়ে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই কোটি কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ঠিক কত জন মানুষ শারীরিকভাবে সক্রিয় জানেন? জানলে অবাক হওয়ার পরিবর্তে হবেন চিন্তিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নতুন তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ভারতের প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপে সক্রিয় নন। এই কথার অর্থ হল, ভারতের প্রায় কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তে শারীরিকভাবে সুস্থ নন।

দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ-এ প্রকাশিত নতুন তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ভারতে অপর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের প্রবণতা ২০০০ সালে ছিল ২২.৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে হয়ে গেছে ৪৯.৪ শতাংশ। এই হার যদি একইভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৩০ সালে ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ শারীরিক ক্রিয়া-কলাপে অযোগ্য হয়ে যাবে।

(আরও পড়ুন: কী খেয়ে এত ফিট শিল্পা? ফাঁস নায়িকার প্রিয় হাই-প্রোটিন বার রেসিপি)

শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়বে হৃদরোগের সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি। এছাড়াও ডিমেনশিয়া এবং বেশ কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাবে এইভাবে শারীরিক ক্রিয়া-কলাপে নিয়োজিত না থাকলে।

WHO সুপারিশ করে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিটের মাঝারি ক্রিয়াকলাপ এবং ৭০ থেকে ১৫০ মিনিটের শক্তিশালী ক্রিয়া কলাপে নিজেদের নিয়োজিত করে রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা যদি পূরণ না হয়, সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে মানুষকে।

গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, অপর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের ক্ষেত্রে ১৯৫টি দেশের মধ্যে ভারত ১২ তম স্থানে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২০২২ সালে প্রস্তাবিত কার্যকলাপের মাত্রা পূরণ করতে পারেননি। এই সমস্যা যদি আগামী দিনে বাড়তেই থাকে, তাহলে শুধু শারীরিকভাবে নয় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে মানুষ।

(আরও পড়ুন: এই ধরনের ব্যক্তিদের ভুল করেও কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়, কী হতে পারে এতে)

এই গ্রাম্য বর্ধমান সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন, যা প্রত্যেকের জন্য শারীরিক ক্রিয়া-কলাপকে আরও বেশি সহজ করে তোলে। প্রতিদিনের ব্যস্ততম জীবনে শারীরিক প্রিয়া কলাপের জন্য মানুষ সময় বের করতে পারে না, তাই শারীরিক ক্রিয়া-কলাপকে আরও বেশি সহজ এবং অ্যাক্সেস যোগ্য যদি করে তোলা যায়, তাহলে হয়তো অনেক বেশি মানুষকে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত করা যেতে পারে।