আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) ঘোষণার পর মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা। এরপর হলে আসতে শুরু করেন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী। তবে হাতে গোনা কয়েকজনই উঠেছেন হলে। ক্যানটিন না খোলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বুধবার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলগুলোতে গড়ে ২০ থেকে ৪০ জনের মতো অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থী কম আসায় এখনও ক্যানটিন চালু করা হয়নি। আবার অনেকেই দেশে চলমান পরিস্থিতিতে হলে আসতে ইতস্তত বোধ করছেন বলেও জানান তারা।
স্যার এ এফ রহমান হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা ১৫ জন হলে ছিলাম। হলে সব ধরনের সুবিধা আছে। তবে শিক্ষার্থী কম হওয়ায় ক্যানটিনগুলো এখনও খোলেনি। এতে খাওয়া-দাওয়ায় একটু কষ্ট হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দিলেও প্রভোস্ট বা হাউজ টিউটর কাউকে দেখা যায়নি। সকাল থেকে অফিস খোলা রয়েছে এবং হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে এসেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হলে উঠতে চাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দিয়েছে। তবে ঢাকাসহ দেশের নানা জায়গায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে। সেই আশঙ্কা থেকে এখনও হলে ফিরিনি। আবার এদিকে ক্যানটিনও খোলেনি, খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা।
এদিকে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘুরে দেখা গেছে, সব দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগা দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা কম থাকায় সেই চিরচেনা ব্যস্ততা দেখা যায়নি।
উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী আরাফাত জানান, সবাইকে কাজে যোগ দিতে আহ্বান করা হয়েছে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবাই কাজে যোগদান করেছেন।