Bangladesh violence: বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আগুন লাগানো হল, পুড়ে ছাই মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতি

বাংলাদেশে চরম অস্থিরতার মধ্যে সংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করল বিক্ষোভকারীরা।আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন। মুজিবুরের বাসভবন হলেও পরবর্তী সময়ে এটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছিল। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে অবস্থিত এই বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে পুরো ভবন। ফটো গ্যালারি থেকে শুরু করে একাধিক বই ছিল। সেগুলিও পুড়ে গিয়েছে। এছাড়াও, ৪টি অগ্নিদ্বগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২০ হাজার টাকা দিয়ে বানিয়েছিল আধার, ভারতে ঢোকার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশি

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়েই পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। তার ঠিক পরেই বিক্ষোভকারীরা সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।খবর পেয়ে দমকল সেখানে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দ্রুত আশেপাশের ভবনগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই জাদুঘর কমপ্লেক্সে আধুনিক মানের লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং ফটো গ্যালারি ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পাশের একটি রেস্তোরাঁও। সেখানকার বই পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র চুরি হয়ে গিয়েছে অথবা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ির দরজা-জানালা। জাদুঘর পুড়িয়ে দেওয়া পর অসংখ্য মানুষ তা পরিদর্শন করেছেন। দেয়ালে প্রতিবাদী গ্রাফিতিও এঁকেছেন।

ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে সেনা বাহিনীকে। তাদের সঙ্গে পড়ুয়ারাও যোগ দেন। পরে এক ছাত্র নিশ্চিত করেন যে এক বাসভবনে বা আশেপাশের ভবনে আর কোনও ভাঙচুর যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। 

জানা যায়, ওই লাইব্রেরি উদ্ধার হওয়া একাধিক বই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠানো হবে। পরে ছাত্র এবং সেনারা সেখান থেকে চুরি বা লুট করার বেশ কয়েকজনের চেষ্টাকে বাধা দেয়। একজন পড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এখন জায়গাটি রক্ষা করছি। আমরা আর কোনও লুটপাট বা ভাঙচুর হতে দেব না।’ এর পাশাপাশি ধানমন্ডি এলাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।