Pakistani Arrested in USA: আন্ডারকভার FBI এজেন্টকে ভাড়া করে ট্রাম্পকে খুনের ছক, আমেরিকায় ধৃত পাকিস্তানি, দাবি রিপোর্টে

কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুনের চেষ্টা রা হয়েছিল এক নির্বাচনী জনসভা চলাকালীন। রিপাবলিকান নেতার ওপরে চালানো হয়েছিল গুলি। সেই গুলি তাঁর কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে অল্পের জন্যে বেঁচে যান তিনি। এই আবহে মার্কিন রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা সুনি্চিত করতে তদন্তে নেমেছিল এফবিআই। আর সম্প্রতি এক পাক নাগরিককে গ্রেফতার করে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, মার্কিন রাজনীতিবিদকে হত্যার ছকের সঙ্গে যুক্ত সেই পাকিস্তানি। এদিকে সেই পাকিস্তানি নাগরিকের ইরানের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয় এফবিআই-এর তরফ থেকে। তবে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্লেখ কোথাও করা হয়নি এফবিআই রিপোর্টে। তবে বহু বিদেশি সংবাদসংস্থার রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই দাবি করেছে, এই পাকিস্তানি ব্যক্তি ট্রাম্পকে খুনের ছক কষার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহেই এফবিআই তাকে গ্রেফতার করে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রাস্তায় পড়ে গলকাটা মৃতদেহ, উলঙ্গ করে যৌনাঙ্গ ‘পরীক্ষা’, দেখা হল হিন্দু না মুসলিম)

ধৃত পাক নাগরিকের নাম আসিফ রাজা মার্চেন্ট বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নিউইয়র্কে এফবিআই-এর হেফাজতে আছে আসিফ। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আসিফ মার্চেন্ট নাকি ‘সুপারি কিলার’ ভাড়া করতে চেয়েছিল মার্কিন রাজনীতিবিদ বা সরকারি আধিকারিককে হত্যা করার জন্যে। তবে যে ‘এজেন্টের’ সঙ্গে এই নিয়ে সে আলোচনা করে, সেই ব্যক্তি আদতে এফবিআই-এর আন্ডারকভার এজেন্ট ছিলেন। এই আবহে আসিফ ধরা পড়ে যান। এদিকে এর আগে আসিফ কোনও মার্কিনির ওপর হামলার চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়। আসিফ নাকি অগস্টের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বর নাগাদ আরও একটি হামা চালানোর ছক কষছিল।

কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে হামলা হয়েছিল। এক বন্দুকবাজ তাঁর মাথা তাক করে গুলি চালিয়েছিল। অল্পের জন্যে বেঁচে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর ছিল। তাঁর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর ছিল। তাঁর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার দিন এই নিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, ট্রাম্পের ভাষণ শুরু হওয়ার পাঁচ-সাত মিনিট পরে দেখতে পান যে হামাগুড়ি দিয়ে তাঁদের পাশে থাকা বাড়ির ছাদে একজন উঠছে। তাঁরা যেখানে ছিলেন, সেখান থেকে ওই বাড়িটার দূরত্ব মেরেকেটে ৫০ ফুট হবে। ওই ব্যক্তির হাতে বন্দুক ছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পুলিকে বলা সত্ত্বেও তারা নিষ্ক্রিয় ছিল। এদিকে এই ব্যক্তি ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শুটারকে তারা আগেই দেখে পুলিশের কাছে নালিশ জানিয়েছিল। তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তা নিয়ে। এই আবহে চাপের মুখে সিক্রেট সার্ভিসের প্রধানকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল এফবিআই-কে নিয়েও। এই আবহে এবার পাক নাগরিককে গ্রেফতার করল এফবিআই।