SSC Scam: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল SSC মামলার শুনানি, ঝুলে রইল ২৬ হাজার মানুষের ভবিষ্যৎ

২০১৬ সালে SSC দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। বেশ কিছু নতুন আবেদন জমা পড়ায় আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের নিজেদের বক্তব্য ৪ সদস্যের কমিটিকে জানাতে সুযোগ দেওয়ার জন্য শুনানি পিছনো হয়েছে। সোমবারের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য কমিটিকে জানাতে হবে নতুন মামলাকারীদের।

আরও পড়ুন – নার্সিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছাত্রীদের গোপনাঙ্গ থেকে উদ্ধার হল মোবাইল ফোন

পড়তে থাকুন – বাংলাদেশে হিন্দু কোতল চলছে, ১ কোটি শরণার্থী নেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন: শুভেন্দু

 

SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলায় প্রধান বিচারপতি বলেন, যোগ্য ও অযোগ্যদের SSC চিহ্নিত করতে পারলে এত লোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কোনও দরকার নেই। জবাবে SSC জানায় যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। এর পরই আদালত ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে সেই কমিটির কাছে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে আদালতে হলফনামা দিয়ে SSC জানায়, নবম – দশম, একাদশ – দ্বাদশ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি এই চারটি শ্রেণিতে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকের সংখ্যা ১,২১২। তবে ভবিষ্যতে সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। SSCর দাবি এদের সুপারিশপত্র দেয়নি তারা। তার পরেও তাদের নিয়োগ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ওদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, তারা SSCর সুপারিশ ছাড়া কাউকে নিয়োগ দেয়নি।

SSCর দেওয়া হলফনামা অনুসারে গ্রপ সিতে ৩৮১ জন, গ্রুপ ডিতে ৬০৮ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। নবম – দশমে মোট ১৮৫ জন ও একাদশ – দ্বাদশে মোট ৩৮ জন বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে SSCর সুপারিশপত্র হাতে পেলেও অনেকে চাকরিতে যোগদান করেননি। সেক্ষেত্রে SSCর সুপারিশপত্রের সংখ্যা পর্ষদের নিয়োগপত্রের সংখ্যার থেকে বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন – বিধানসভায় বেনজির সৌজন্য, বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় শুভেন্দুর প্রস্তাব মেনে নিলেন মমতা

সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অন্য একটি মামলার দীর্ঘ শুনানি রয়েছে। সেক্ষেত্রে SSC মামলার শুনানি ফের কবে হবে তা বেলা ২টোর পর জানাবে আদালত। তবে অগাস্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা।