Internet Shutdowns: ইন্টারনেট বন্ধের অর্থনৈতিক-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করেনি সরকার, অকপট মন্ত্রী

সামাজিক থেকে অর্থনৈতিক, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট বন্ধ হলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে ইন্টারনেট বন্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবগুলি পরিমাপ করার জন্য কোনও মূল্যায়ন করেনি। বুধবার একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায় লোকসভাকে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্র পেমমাসানি।

কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ, বেনি বেহানান, সুখদেব ভগত এবং হরিশ চন্দ্র মীনার উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মন্ত্রীর দাবি যে ২০২৩ সালের টেলিযোগাযোগ আইনের অধীনে, ইন্টারনেট সাসপেনশনের নিয়ম প্রণয়নের বিষয়ে সিভিল সোস্যাইটি, বিভিন্ন, বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করছে না টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

আরও পড়ুন: (Swish: ‘শ্রম শোষণ করা হচ্ছে’- ১০ মিনিটে খাবার ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমজনতার রোষে এই নতুন স্টার্টআপ)

বিজেপি সাংসদ সুধীর গুপ্তা এবং কংগ্রেস সাংসদ চবন বসন্তরাও বলওয়ান্তরাওয়ের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেছিলেন যে নিরাপত্তার জন্য সরকার টেলিকম পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা এখনই বিবেচনা করছে না। কারণ এমন বিধানগুলির বিষয়ে সরকার সরকারি বা বেসরকারি অপারেটরদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পায়নি, যা দেখে সরকার সরকারের মনে হতে পারে যে টেলিকম পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ সরকারের নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত।

শলা-পরামর্শ বা আলোচনার জন্য টেলিকম আইনের বিভিন্ন ধারার আওতায় পাঁচটি খসড়া নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ দফতর। তবে এখনও ২০ নম্বর ধারার আওতায় কোনও খসড়া নিয়ম প্রকাশ করা হয়নি। আবার, ২১ নম্বর ধারার আওতায় জাতীয় সুরক্ষা, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা যুদ্ধের সময় যে কোনও টেলিকম নেটওয়ার্কের পরিষেবা বন্ধ করে দিতে পারে বা নিজেদের হাতে নিয়ে পারে। ওই ধারাটি কোনও পরোক্ষ আইনের নির্ভর করে না।

আরও পড়ুন: (Infosys: ৩২,০০০ কোটি টাকা ট্যাক্স দিতেই হবে! ইনফোসিসকে স্বস্তি দিতে নারাজ সরকার)

২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে টেলিকম সার্ভিস আইনের আওতায় জেলাভিত্তিক এবং মাসিক ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার তথ্য জানতে চেয়েছিলেন চার কংগ্রেস সাংসদ। সেইসঙ্গে সরকারের তরফে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার তালিকায় বিশ্বের মধ্যে ভারত যে শীর্ষে আছে, তা সরকার জানে কিনা, তাও জানতে চেয়েছিলেন চার সাংসদ।

এরই জবাবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে যেহেতু পুলিশ এবং পাবলিক অর্ডার রাষ্ট্রীয় বিষয়, তাই টেলিযোগাযোগ বিভাগ রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির দ্বারা জারি করা ইন্টারনেট সাসপেনশন আদেশের রেকর্ড রাখে না।

আরও পড়ুন: (Bangladesh violence: ‘আমাদের শত্রুকে সাহায্য করলে….’ হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে সতর্ক করল BNP)

প্রসঙ্গত, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কিছু অসুবিধা হলেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ইন্টারনেট সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত নেট লস ক্যালকুলেটর অনুসারে, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ অগস্টের মধ্যে ভারতে ইন্টারনেট বন্ধের ফলে জিডিপি ১৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে৷