Locket on Hasina: ‘শুনছি হাসিনা ভারতে আসছেন.. প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করবেন,’ বক্তা লকেট

বাংলাদেশ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তে সি১৩০ এয়ারক্রাফ্ট ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। এই এয়ারক্রাফ্টের গতিবিধির দিকে নজর রেখেছে ভারত। সেখান থেকে ডাক এসেছে বলেও শোনা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই এয়ারক্রাফ্ট বাংলাদেশের সদ্য ইস্তফা দেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর হাসিনার ভারতে আসার জল্পনার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,’ বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন বলে আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে শুনছি।’ লকেট বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন, তার কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন আমাদের দেশ নিরাপদ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত দিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত। আমরা আশা করছি বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি ফিরবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করবেন প্রয়োজন হলে।’ 

এদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ আমি বাংলার জনগণকে সংযত থাকার আহ্বান জানাব। কেউ যেন উস্কানিতে লিপ্ত না হয়। বিষয়টি দুই দেশ জড়িত। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এবং আমরা তাদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করব।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা রওনা হওয়ার পরই বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করে যে, সম্ভবত শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। এদিকে, এর আগে, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের অসহায় মানুষ আমাদের দরজায় কড়া নাড়লে আশ্রয় দেব। এরপর তা নিয়ে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার আপত্তি তোলে। কেন্দ্রও স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, এই বিষয়টি কেন্দ্রের ওপর যেন ছাড়া হয়। তারপরই এল মমতার এই বক্তব্য। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার খুব শিগগির গঠন হতে চলেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত,  কিছু দিন আগে থেকে শুরু হওয়া কোটা আন্দোলনের পর  ৪ অগস্ট বাংলাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। তারপর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়। সেখানে শতাধিক মানুষ মারা যান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থএকে ইস্তফা দিলেন শেখ হাসিনা।