খারাপ পণ্য খালাস করে পালানোর মতলবে ছিল বিদেশি জাহাজ, রাতে শুনানি করে রুখল আদালত

নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য নামিয়ে পালানোর মতলবে ছিল বিদেশি জাহাজ। সেই জাহাজের বন্দর ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে দায়ের আবেদনের শুনানিতে রাত ৯টায় বসল আদালত। রবিবার ব্যতিক্রমী এই ঘটনা ঘটল কলকাতা হাইকোর্টে। পানামার পতাকাবাহী ওই জাহাজে করে বিদেশ থেকে কাগজ এসেছিল হলদিয়া বন্দরে। আমদানিকারী সংস্থার আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই জাহাজের বন্দর ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।

কাগজ আমদানিকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে গত ২৫ জুলাই ৮ হাজার মেট্রিকটন মাল নিয়ে জাহাজটি হলদিয়া বন্দরে নোঙর করে। কিন্তু মাল খালাসের পর দেখা যায় তার মধ্যে ১,৩১২ মেট্রিকটন পণ্য ব্যবহারের অযোগ্য। ভারতীয় টাকায় যার বাজার মূল্য প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা। জাহাজ পরিবহনের বিধি অনুসারে পথে পণ্যের কোনও ক্ষতি হলে তার দায় পরিবহনকারী সংস্থাকে নিতে হয়। কিন্তু ব্যবহারের অযোগ্য পণ্যের ক্ষতিপূরণ না দিয়েই সোমবার সকাল ৭টায় জাহাজটি হলদিয়া বন্দর ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

যেহেতু সোমবার আদালতের কাজ শুরু হওয়ার আগেই জাহাজটি বন্দর ছেড়ে যেত তাই রবিবার রাতে আবেদনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে রাত ৯টা থেকে শুরু হয় মামলার শুনানি। তাতে আমদানিকারী সংস্থা জানায়, জাহাজ বন্দর ছেড়ে চলে গেলে নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্যের জন্য পরিবহনকারী সংস্থার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় কার্যত অসম্ভব। 

একথা শুনে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় নির্দেশে বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাহাজটি হলদিয়া বন্দরেই নোঙর করা থাকবে। এই নির্দেশ হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে। তবে ক্ষতিপূরণের টাকা আগাম আদালতে জমা দিয়ে জাহাজ নিয়ে যেতে পারে পরিবরনকারী সংস্থা। সেজন্য আদালতে তাদের ৭ কোটি টাকা জমা রাখতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগাস্ট।