আবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি!‌ জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে সন্ন্যাসীদের

আবার ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি হতে চলেছে বঙ্গে। লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। একাধিক হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন তা করেছিল। ২০২৩ সালে তা প্রত্যক্ষ করেছিলেন বাংলার মানুষজন। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে আবার শুরু হয়েছে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ প্রস্তুতি। তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে যা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০২৪ সালে ব্রিগেডে তেমন বড় সমাবেশ হচ্ছে না। সেটা হতে ২০২৫ সালের শুরু হয়ে যাবে। এখন বাংলাদেশে একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। হিন্দুদের রক্ষা করতে বলেছেন। তারপরই এই ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এই ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গে একইরকম কর্মসূচি হতে চলেছে। এবার ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’ ১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে বৈঠকে বসছে। সেই বৈঠকের পর শিলিগুড়ির কাছে কোনও বড় মাঠে আগামী ১৪ অথবা ১৫ ডিসেম্বর হবে প্রথম গীতাপাঠের কর্মসূচি। উত্তরবঙ্গের পর বর্ধমানে বসবে দ্বিতীয় ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’–এর আসর। আর সব শেষে ২০২৫ সালের প্রথমেই ব্রিগেড সমাবেশ বলে জানিয়েছেন সংসদের প্রধান তথা ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ)। যিনি এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌পুলিশ মেডেল’‌ পেতে চলেছেন মহিলা ডিসিপি, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির তদন্ত করেন

গতবছর ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ বিতর্ক তৈরি করেছিল। কার্তিক মহারাজরা দাবি করেছিলেন, ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ গীতাপাঠে সামিল হন। যদিও অনেকেই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার কার্তিক মহারাজ আজ শনিবার বলেন, ‘ব্রিগেডে বিপুল মানুষের সমাবেশ হয়েছিল। তবে তখন উত্তরবঙ্গের মানুষ সেভাবে যোগ দিতে পারেননি। তাই এবার তিন ভাগে হবে গীতাপাঠ। সর্বত্রই বিপুল সংখ্যায় মানুষ আসতে পারবেন। আর চূড়ান্ত আয়োজন আবার ব্রিগেডেই করা হবে।’ তবে এবার এখানে কারা আসছেন তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সদস্যরা।

এবার সেই বিষয়ে কলকাতায় পথে নামতে চান কার্তিক মহারাজরা। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। কার্তিক মহারাজের বক্তব্য, ‘হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশে অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা চিন্তিত। তাই আজ বাংলার নানা প্রান্তের সন্ন্যাসীরা রাজভবনের সামনে জমায়েত করবেন। রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেবে।’ আগামী ১৭ অগস্ট কলকাতায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের কাছে একটি সমাবেশ করা হবে। কার্তিক মহারাজের কথায়, ‘সেদিন হিন্দু ধর্ম সম্মেলন হবে। রাজ্যের সব প্রধান ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’