যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে সপাটে চড় পুলিশের, আলোড়ন বহরমপুরে

বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতিকে প্রকাশ্যে সপাটে চড় কষিয়ে দিল পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির ময়দানে। শাসকদলের নেতাকে পুলিশ সপাটে চড় মারছে এটা শেষ কবে দেখেছিলেন মানুষজন তা মনে করতে পারছেন না। ভুল জায়গায় গাড়ি রাখায় মান গেল বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতির। ফলের দোকানের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করেই গোলমাল শুরু হয়। আর তার জেরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে প্রকাশ্যে চড় মারলেন একজন মদ্যপ পুলিশ অফিসার বলে অভিযোগ। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুরে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁর গাড়ি ভুল জায়গায় দাঁড় করিয়ে একটি ফলের দোকানে বাজার করতে চালককে পাঠান মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আসিফ আহমেদ। তখন পুলিশের গাড়ি এসে, দোকানের সামনে কেন গাড়ি রাখা আছে?‌ প্রশ্ন করা হয়। তা নিয়ে জোর তর্ক শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে যুব নেতার। যুব নেতাকে তখন সপাটে চড় মারেন ওই পুলিশ অফিসার। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। কথাবার্তার মাঝেই হঠাৎ ওই যুব তৃণমূল নেতাকে অপমানজনক কথা বলতে থাকেন বলে অভিযোগ। তারপরই সপাটে গালে একটি চড় মারেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। যার জেরে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত করেন তৃণমূলের কর্মীরা।

আরও পড়ুন:‌ ‘এত ভাল মেয়ে আর পাওয়া যাবে না’‌, তরুণী চিকিৎসকের হত্যায় সহকর্মীদের প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার পর অবিলম্বে ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলা হয়। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি মেলেনি। এই ঘটনা নিয়ে আসিফ আহমেদ বলেন, ‘‌শুক্রবার রাতে বাড়ির কাছেই ইসলামপুর এলাকার একটি ফলের দোকানে গাড়ির ড্রাইভারকে নিয়ে ফল কিনতে যাই। গাড়িটিকে রাস্তার ধারে রেখে পাশেই একটি দোকান থেকে ফল কিনছিলেন। তখন ইসলামপুর থানার অফিসার বিপ্লব মণ্ডল গাড়িকে সরিয়ে নিতে বলেন। ‌আমি তখন ওই পুলিশ অফিসারকে জানাই যে আমি গাড়ি চালাতে জানি না। ড্রাইভার এলেই গাড়ি সরিয়ে নেব। কিন্তু বিপ্লব মণ্ডল মদ্যপ অবস্থায় আমাকে মারধর করেন।’‌

https://www.youtube.com/watch?v=22ipsVG6ZjU

এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়তেই চাপে পড়ে যায় পুলিশ। ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার এবং মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপারকে ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেন আক্রান্ত ওই যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তবে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা আসিফ আহমেদ। তবে বহরমপুর পুলিশ জেলার এক অফিসার জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি বিপ্লব মণ্ডল মদ্যপ অবস্থায় কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনার পরই তাঁকে বহরমপুরে পুলিশ লাইনে ‘‌ক্লোজ’‌ করা হয়েছে।