Durga Pujo Donation: দুর্গাপুজোর অনুদানের টাকা টিএমসি কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে, ‘হরির লুঠ!’

এবার দুর্গাপুজোয় কার্যত বিপুল টাকা অনুদান দিচ্ছে রাজ্য় সরকার। ক্লাব, বারোয়ারির কাছে এই অনুদানের টাকা আসছে। তবে শুধু ক্লাব বা বারোয়ারির অ্যাকাউন্টেই নয়। পুজোর অনুদানের টাকা গিয়েছে তৃণমূলের কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টেও। তবে সেটা ২০২৩ সালের। কিন্তু পুজো কমিটির তো এই টাকা পাওয়ার কথা সেই টাকা কীভাবে কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে চলে গেল?

এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। সেই চেকের ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কৌস্তভ বাগচি। কেন কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে পুজোর অনুদানের টাকা গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৌস্তভ।

টিটাগড়ে সর্বজনীন দুর্গাপুজো।এই পুজো কমিটির টাকা গিয়েছে দেবব্রত ভট্টাচার্যের সংস্থার অ্যাকাউন্টে। তিনি আবার টিটাগড় পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী ভট্টাচার্যের স্বামী।

 

এদিকে মৌসুমী ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুজো কমিটির অ্য়াকাউন্ট না থাকার কারণেই স্বামীর অ্যাাকউন্টে টাকা এসেছিল। আর তাঁর স্বামীই এই পুজো কমিটির সম্পাদক।

এবার প্রশ্ন পুজো কমিটির অ্যাকাউন্ট করা হয়নি সেই সময়?

দেবব্রত ভট্টাচার্যের দাবি, এটা তো চেক, বলেছিল চেক না নিলে ফিরে যাবে। যদি প্রটোকল না থাকত আমাকে তো চেক দিতই না ট্রেজারি থেকে। তাঁকে অপদস্থ করার জন্য় এসব কথা বলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কারেন্ট অ্য়াকাউন্টে টাকা দেওয়া যায়।

তবে কৌস্তভ বাগচির দাবি, এই ঘটনায় তদন্ত চাই। সরকারি টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। এনিয়ে মামলার হুঁশিয়ারিও তিনি দিয়েছেন।

তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, সরকারি টাকার হরির লুঠ!

২০২৩ সালের মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুজোর অনুদান সরাসরি তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর অ্যাকাউন্টে!

টিটাগড়ের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

পুজো কমিটির অ্যাকাউন্টে না নিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা! মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, মহাশয়া,সরকারি কোষাগার কে গৌরি সেনের ফান্ড ভাবা বন্ধ করুন।

এদিকে এবার পুজোর অনুদানের টাকা এক ধাপে বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গেই সামনের বছর এক লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এদিকে একে বার বারই বলা হয় সরকারি কোষাগারে টানাটানি। তা সত্ত্বেও সরকার নানা উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারপরেও এই বিপুল পরিমাণ টাকা সরকার কোথা থেকে পেল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে কেন পুজো অনুদানের টাকা কাউন্সিলরের স্বামীর অ্যাকাউন্টে গেল?