Save Hindu Rally in Bangladesh: হিন্দু বাঁচাও! পোস্টার হাতে ঢাকার রাজপথে নেমে এলেন সংখ্য়ালঘুরা

বাংলাদেশে কেমন আছেন সংখ্যালঘুরা? শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতেই এই প্রশ্নটা নতুন করে উঠতে শুরু করেছে। এদিকে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করতেই আওয়ামি লীগের নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছিল বলে খবর। এদিকে সংখ্য়ালঘু বিশেষত হিন্দু নেতারা সম্প্রতি জামায়াতে নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের দোষটা কোথায়? আমাদের উপর কেন বার বার আক্রমণ করা হয়?

এসবের মধ্যেই আওয়ামি লীগের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশী হিন্দুরা ঢাকার শাহবাগে মিছিল বের করেছিলেন। তাদের লোকজন, সম্পত্তি, ও পুজোর স্থানের উপর গত ৫ অগস্ট থেকে হামলার প্রতিবাদে এই মিছিল। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে নানা স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। সেভ হিন্দু লেখা পোস্টার নিয়ে হাঁটছেন কয়েকজন।

এদিকে বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুর উপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলের তরফ থেকে।

 

অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জেরে মোদী সরকার একটি কমিটি তৈরি করেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য। এই কমিটি বাংলাদেশে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। ভারতের নাগরিক, হিন্দু, ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যাঁরা সেখানে বাস করেন তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হবে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন, এডিজি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ইস্টার্ন কমান্ড।

অন্যদিকে কোচবিহারের শীতলকুচিতে আবার দেখা যায় অন্য ছবি। সীমান্তের ওপারে প্রচুর বাংলাদেশী জড়ো হয়ে যান। তারা জয় শ্রীরাম, ভারত মাতা কী জয় ধ্বনি দিচ্ছিলেন। তারা সকলেই ভারতে আশ্রয় চাইছেন। কয়েকজন আওয়ামি লীগের নাম করে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

এদিকে বুধবার জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে সংলগ্ন সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অনেকে জড়ো গিয়েছিলেন। তারা ভারতে আসতে চাইছিলেন। তবে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।

এদিকে শীতলকুচির পাঠানটুলিতে এদিন প্রচুর বাংলাদেশী জড়ো হয়েছিলেন। তারা হাসিনার নামে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তবে সীমান্তে বিরাট সতর্ক বিএসএফ। ইতিমধ্য়ে সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএসএফ।

সীমান্তের গ্রামগুলিতে মিটিং করছে বিএসএফ। গেদে সীমান্তের কাছে বিএসএফ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএসএফের আধিকারিকরা সাধারণ গ্রামবাসীদের নানাভাবে সচেতন করেন। সেই মিটিংয়ে বলা হয়েছে সীমান্তের ওপারে লোকজন জড়ো হলেই যেন বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়।

বিএসএফের তরফে ইতিমধ্যে নদিয়ার বিভিন্ন সীমান্তের গ্রামে মিটিং করা হয়। কাউকে যদি জিরো পয়েন্টে যেতেই হয় সেক্ষেত্রে যেন বিএসএফকে আগাম জানানো হয় সেটাও জানানো হয়েছে।