Youth beaten: কালনায় চোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে মারধর, দেওয়া হল ইলেকট্রিক শক!

ছেলে ধরা অথবা চোর সন্দেহে গণপিটুনি রুখতে পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না এই ধরনের ঘটনায় গণপিটুনি। ফের চোর সন্দেহে এক যুবককে বেঁধে রেখে মারধর করা হল। শুধু মারধরই নয় ইলেকট্রিক শখ দেওয়া হল যুবককে। ঘটনার জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই যুবক। এমন নির্মম অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার মহিষমর্দিনীতলা এলাকায়। আক্রান্ত যুবকের নাম শ্যামল পাসওয়ান।

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর, মৃত্যু যুবকের, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

জানা গিয়েছে, মহিষমর্দিনী পুজো উপলক্ষে সেখানে একটি ছোট মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে নাগরদোলাও নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে, বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কালনার মহিষমর্দিনীতলায় মেলা প্রাঙ্গণে চলে যান ওই যুবক। সেখানেই চোর সন্দেহে তাকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময় তাকে বেঁধে রেখে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই অভিযোগ উঠেছে মেলায় নাগরদোলা নিয়ে আসা কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।খবর পেয়ে যুবকের বাড়ির লোকজন সেখানে চলে আসে। গুরুতর জখম অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে তার বাড়ির লোকজনেরা। 

জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই নাগরদোলার কাছে গিয়েছিল শ্যামল পাসওয়ান। এদিকে, গত দু-তিন দিন আগে নাগরদোলা নিয়ে আসা ব্যক্তিদের কয়েকটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। তাই যুবককে গভীর রাতে ওই এলাকায় দেখতে পেয়ে চোর সন্দেহ করে প্রথমে তাকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। পরবর্তী সময় তাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় যুবকের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জনানো হবে। যুবকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তারা কালনা থানার দ্বারস্থ হবেন।

আরও অভিযোগ, খবর পেয়ে যুবকের মা উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষের দাবি মোবাইল চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছিল ওই যুবক। তাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে তার পরিবার এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যদিও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেছে। মারধর করা হয়নি বলেও তারা দাবি করেছেন।