Abhishek on Encounter of Rapists: ‘যোগী স্টাইলে’ ধর্ষকের এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল অভিষেকের, উলটো সুর ফিরহাদের গলায়

আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা বাংলা। এরই মাঝে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের এনকাউন্টারে মারার পক্ষে সওয়াল করলেন। গতকাল ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক চলাকালীন তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। আপনারা মনে করেন, যারা এই ঘটনা ঘটাল তার বেঁচে থাকার অধিকার আছে? ৭ দিনের মধ্যে এনকাউন্টার করে মারা উচিত দোষীকে।’ (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সরেনি রহস্যের মেঘ, কেন প্রতিরোধ করতে পারেননি চিকিৎসক?)

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ, নোট বাতিলের আতঙ্ক, ভারতের ১ লাখ বাংলাদেশে কত?

এরপর অভিষেক আরও বলেন, ‘কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। এই ধরনের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই আইন আনা হয় না কেন? চাইলেই আনা যায়। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এই বিল আনুক। আইনসভায় অর্ডিন্যান্স আনুন। আইন সংশোধনী আনুন। যাতে সাতদিনে ধর্ষকদের বিচার করা যায়। তৃণমূল, কংগ্রেসের উচিত এই বিলকে সমর্থন করা। কেন ৫-৬ বছর ট্রায়াল চলবে?’ 

আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া দাবি সামনে আসতেই ‘৩ জুনের শেয়ার বাজার জালিয়াতি’ নিয়ে সরব TMC

এরপর এই নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে বিজেপিকে তোপ দাগেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। আমাদের দেশের আইন এমন যেখানে অনেকে চাইলেও কিছু করতে পারে না। এসমস্ত ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। এধরনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি উচিত নয়। উত্তরপ্রদেশে ঘটলে দেহ পাওয়া যেত না। রাজ্য বিজেপি নেতাদের আমার পরামর্শ, কড়া আইন আনার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি লিখুন।’

আরও পড়ুন: সকাল থেকেই অন্ধকার আকাশ, বৃষ্টি কলকাতায়, আজ সারাদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?

এদিকে আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলতে গিয়ে মন্তব্য করেন, ‘আমরা পারব না ইউপির মতো এনকাউন্টার করতে।’ ফিরহাদের কথায়, ‘কামদুনিতে যেমন প্রত্যেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এখানেও শক্ত হাতে তদন্ত করতে হবে। যারা এরকম পৈশাচিককাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করবে পুলিশ। অন্য রাজ্যের তুলনায় রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ এই ধরনের ঘটনায় তদন্ত খুব দ্রুত করে। আমার মনে হয় দোষীদের আদালত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে। আমরা তো আর পারব না ইউপির মতো হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে প্রকাশ্যে এনকাউন্টার করে মেরে দিতে। সভ্য সমাজে সেটা হয় না। আদালত কঠোর শাস্তির নিদান দেবে বলেই আশা রাখছি।’