Hindenburg Report Latest Update: হিন্ডেনবার্গের নয়া বিস্ফোরণের পর সেবি কর্তার সঙ্গে আদানি যোগের ‘টাইমলাইন’ প্রকাশ মহুয়ার

মাধবী পুরী বুচকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গের দাবি সামনে আসতেই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, এই চেয়ারপার্সনের অধীনে আদানির বিরুদ্ধে সেবির কোনও তদন্ত বিশ্বাসযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্টের উচিত তাদের রায় পুনর্বিবেচনা করা। এরপর সিবিআই এবং ইডি-কে ট্যাগ করে সেবি কর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান মহুয়া। আর আজ সকালে আদানি এবং সেবি কর্তার ‘যোগ’ প্রমাণ করে একটি টাইমলান তুলে ধরে ধরেন মহুয়া মৈত্র। (আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গের নয়া দাবি সামনে আসতেই ‘৩ জুনের শেয়ার বাজার জালিয়াতি’ নিয়ে সরব TMC)

আরও পড়ুন: মাধবীর আদানি যোগ নিয়ে বিস্ফোরক হিন্ডেনবার্গ, মুখ খুললেন সেবি কর্তা

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলায় বিধিনিষেধ, নোট বাতিলের আতঙ্ক, ভারতের ১ লাখ বাংলাদেশে কত?

আজ সকালে নিজের পোস্টে মহুয়া লেখেন, ‘সেবি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আদানি যোগের টাইমলাইন: জুন ২০১৫ – বুচ আইপিই প্লাস অফশোর ফান্ডে আদানি সত্তাগুলিতে বিনিয়োগ করেন। ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিআইও ছিলেন অনিল আহুজা। জুন ২০১৭ পর্যন্ত আদানি এন্টারপ্রাইজের ডিরেক্টর ছিলেন এই অনিল। এরপর মার্চ ২০১৭ – সেবিতে যোগ দেওয়ার আগে অফশোর ফান্ডে নিজের নামে থাকা অংশিদারিত্ব স্বামীর নামে স্থানান্তর করেন মাধবী। এপ্রিল ২০১৭ – সেবি-র বোর্ডে যোগ দিলেন মাধবী। ফেব্রুয়ারি ২০১৮ – ফান্ডের শেয়ারের মূল্য হয় ৮,৭২,৭৬৫.১৮ ডলার। এপ্রিল ২০১৯- ব্ল্যাকস্টোন ভারতের প্রথম REIT-এর অনুমোদন পায়। জুলাই ২০১৯ – স্বামী ধবল বুচ ব্ল্যাকস্টোনের ‘সিনিয়র উপদেষ্টা’ হিসাবে নিযুক্ত হন। মার্চ ২০২২ – সেবির চেয়ারপার্সন হিসাবে নিযুক্ত হন মাধবী। সুপারস্টার নিয়ন্ত্রক অজয় ​​ত্যাগীর বদলে মাধবীকে এই পদে আনা হয়। ২০২৩-২৪ – সুপ্রিম কোর্ট আদানি তদন্তের জন্য কমিটি অনুমোদন করে। কমিটি চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহণ করে এবং সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে তারা আদানির এফপিআই অফশোর শেয়ারহোল্ডারদের তথ্য পেতে অক্ষম।’

আরও পড়ুন: ‘সেন্ট মার্টিন না দেওয়ায় USA…’, বাংলাদেশ ত্যাগের পর এই প্রথম মুখ খুললেন হাসিনা

উল্লেখ্য, গতকাল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে নাকি তাঁর স্বামী এই বিনিয়োগ পুরোপুরি নিজের নামে করার আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে মাধবীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না হয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, একটি মাল্টিলেয়ার অফশোর স্ট্রাকচারের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই মুখ খুলেছেন মাধবী এবং তাঁর স্বামী। তাঁরা বলেন, ‘হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে তোলা সব অভিযোগ আমরা অস্বীকার করছি। এই দাবিগুলি ভিত্তিহীন। আমাদের জীবন এবং ফাইনান্স খোলা বইয়ের মতো। সেবিতে এত বছর ধরে কাজ করার ফলে সব আর্থিক লেনদেন প্রকাশ করতে হয়েছে। আমাদের কোনও আর্থিক লেনদেনের নথি প্রকাশ্যে আন কোনও দ্বিধা নেই। যে কোনও তদন্তকারী সংস্থাও তা দেখতে চাইতে পারে।’