Child Care Leave for Father: বাচ্চা দেখাশোনার জন্য দুবছরের ছুটি নিতে পারবেন পুরুষরাও, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

চাইল্ড কেয়ার লিভ। সাধারণত মহিলারাই এই ছুটি পান। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সোমবার এনিয়ে যুগান্তকারী নির্দেশ দিয়েছেন। এক শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে মায়ের পাশাপাশি বাবারও সমান দায়িত্ব রয়েছে। পুরুষরাও যাতে মহিলাদের মতো সমান ছুটি নিতে পারেন তার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে ২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের এই ধরনের একটি আইন রয়েছে বলে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সাধারণত নিয়ম অনুসারে কর্মরত মহিলারা এই চাইল্ড কেয়ার লিভ পান। পুরুষরা এই রাজ্যে অন্তত ৩০দিন চাইল্ড কেয়ার লিভ পান। আর তার থেকে বেশি এই ধরনের ছুটি পেলে টাকা কেটে নেওয়া হয়। তবে এবার সরকারি সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন এক শিক্ষক। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, সন্তান পালনের জন্য় মায়ের মতোই বাবারও সমান দায়িত্ব থাকে। সেক্ষেত্রে ছুটির ক্ষেত্রে কেন তারা বঞ্চিত হবেন? তাঁদেরও সমান ছুটি পাওয়া উচিত বলে জানিয়েছে আদালত। 

এদিকে ২০১৮ সালে কেন্দ্রের মোদী সরকার জানিয়েছিল পুরুষরাও ৭৩০জন ছুটি নিতে পারবেন। সন্তান পালনের জন্য তাঁরা এই ছুটি নিতে পারবেন। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল কেবলমাত্র সিঙ্গল পেরেন্টদের ক্ষেত্রে বাবা এই ছুটি নিতে পারবেন। তবে পরের বছর মূল বেতন কিছুটা কাটছাঁট করা হবে বলেও জানানো হয়েছিল। 

এদিকে পুরুষদের চাইল্ড কেয়ার লিভ প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, রাজ্যকে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামী তিন মাস এজন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর এনিয়ে নির্দেশিকা জারি করার কথা বলা হয়েছে। 

এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আদালতের এই নির্দেশিকার জেরে বহু পুরুষের মুখে হাসি ফুটবে। এবার শিশুদের লালন পালন করার জন্য ছুটি পাবেন তাঁরাও। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি চাকুরিরতা মায়েরাই এই ছুটি পেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার আদালতের নির্দেশে বিরাট স্বস্তি পাবেন পুরুষরাও। তাছাড়া মূলত যাদের একেবারে ছোট্ট সন্তানকে বাড়িতে রেখে অফিসে বের হতে হয় তাঁদের জন্য অত্যন্ত আশার কথা। তবে সেক্ষেত্রে এবার রাজ্য সরকার কবে আদালতের নির্দেশ মেনে এই ছুটির নির্দেশিকা জারি করে সেটাও দেখার। তবে এই নির্দেশিকা জারি হলে প্রচুর পুরুষের সুবিধা হবে। তবে সরকারি চাকরির বাইরেও অংসগঠিত ক্ষেত্রেও বহু মানুষ চাকরি করেন। তাঁদের কি হবে সেই প্রশ্নও রয়েছে।