Hindenburg Report Latest Update: ‘বিনিয়োগ করেছিলাম…’, হিন্ডেনবার্গের ইয়র্কারে উইকেট রক্ষার চেষ্টা সেবি প্রধানের

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফ থেকে শনিবারই নতুন করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দাবি করা হয়েছিল, আদানিদের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি ফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামী। এরপরই শুরু হয় তোলপাড়। এই অভিযোগ সামনে আসতেই প্রাথমিক ভাবে তা খারিজ করে দিয়েছিলেন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। সেই সময়ই তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই নিয়ে বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করবেন তাঁরা। সেই মতো গতকাল বিস্তারিত ভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে হিন্ডেনবার্গের তোলা সব অভিযোগ খারিজ করল বুচ দম্পতি। (আরও পড়ুন: আরজি করে কেস ধামাচাপা দিতে নির্যতিতার মাকে টাকার অফার পুলিশের, বিস্ফোরক চিকিৎসক)

আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভাবে…’, দিল্লিকে বড় বার্তা ঢাকার

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত শ্রাবণের সোম, বাবার মাথায় জল ঢালতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭ ভক্ত

বুচ দম্পতির বিস্তারিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উল্লেখিত সেই ফান্ডে আমরা বিনিয়োগ করেছিলাম ২০১৫ সালে। সেই সময় আমরা দু’জনেই সাধারণ নাগরিক ছিলাম এবং আমরা সিঙ্গাপুরে থাকতাম। মাধবী সেবির সদস্য হওয়ার ২ বছর আগের কথা সেটা। সেই ফান্ডে আমরা বিনিয়োগ করেছিলাম কারণ তখন সেই ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ছিলেন অনিল অহুজা। তিনি ধবলের ছোটবেলার ভালো বন্ধু। স্কুলে এবং আইআইটি দিল্লিতে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তাঁরা। অনিল অহুজা সিটি ব্যাঙ্ক, জেপি মর্গ্যান, ৩আই গ্রুপের মতো বিভিন্ন বড় বড় সংস্থায় কয়েক দশক ধরে কাজ করে এসেছেন। আর অনিল অহুজা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তারা এই ফান্ডের থেকে কোনওদিন বন্ড, শেয়ার বা ডেরিভেটিভের মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর কোনও শেয়ারেই বিনিয়োগ করেনি।’

আরও পড়ুন: ‘মায়ের সাথে কথা হল…’, হাসিনার ‘বিবৃতি’ ঘিরে রহস্য, নয়া দাবি পুত্র জয়ের

উল্লেখ্য, গতকাল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। আদানিদের সঙ্গে সেই ফান্ডের যোগ আছে। ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে নাকি তাঁর স্বামী এই বিনিয়োগ পুরোপুরি নিজের নামে করার আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে মাধবীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না হয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, একটি মাল্টিলেয়ার অফশোর স্ট্রাকচারের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।

আরও পড়ুন: নির্যাতিতার ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন দোষ,আরজি করের সেই অধ্যক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

শনিবার রাতে হিন্ডেনবার্গ তাদের সংস্থার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে দাবি করে, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। এই বিনিয়োগ নাকি অঘোষিত। ২০১৫ সালে এই বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেবির চেয়ারপার্সন হিসাবে তাঁর পদোন্নতি হয়। এই পরিস্থিতিতে ফের আদানি নিয়ে শেয়ার বিনিয়োগকারীদের মনে সংশয় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।