Stampede in Shiv Temple: বাবার মাথায় জল ঢালতে গিয়ে বিহারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭ ভক্ত, মর্মান্তিক ঘটনা শ্রাবণের চতু্র্থ সোমে

শ্রাবণ মাসের সোমবর শিবলিঙ্গে জল ঢালতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ৭ জন ভক্তের। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জেহানাবাদ জেলায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভানাভার পাহাড়ে অবস্থিত সিদ্ধিনাথ মন্দিরে ভিরের কারণে পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের অধিকাংশই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবার। এই আবহে মহাদেবের মাথায় জলা ঢালতে গতরাত থেকেই মন্দিরে ভির জমিয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। এই আবহে গতকাল মধ্যপাতের পরে আচমকাই হুড়োহুড়ি শুরু হয় ভক্তদের মধ্যে। আর সেই সময়ই ভক্তদের পায়ের চাপে পিষে মৃত্যু হয় ৭ জনের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন ভক্ত। সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। (আরও পড়ুন: নির্যাতিতার ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন দোষ,আরজি করের সেই অধ্যক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু)

আরও পড়ুন: ‘মায়ের সাথে কথা হল…’, হাসিনার ‘বিবৃতি’ ঘিরে রহস্য, নয়া দাবি পুত্র জয়ের

জানা গিয়েছে, ভানাভার পাহাড়ে বাবা সিদ্ধিনাথের মন্দিরে জলাভিষেকের রবিবার রাতেই জড়ো হন শিব ভক্তরা। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে গভীর রাতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়। ভির সামলাতে নাকি ভক্তদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল সেখানে নিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। এর জেরেই নাকি হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা এবং ২ জন পুরুষ। তবে আহত ভক্তের সংখ্যা প্রায় ৫০। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়লেও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আরজি করে কেস ধামাচাপা দিতে নির্যতিতার মাকে টাকার অফার পুলিশের, বিস্ফোরক চিকিৎসক

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেহানাবাদের এসডিও বিকাশ কুমার বলেন, ‘জেহানাবাদ জেলার মখদুমপুরে বাবা সিদ্ধিনাথ মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত সাতজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি এবং এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। পর্যাপ্ত ভাবে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি এবং তারপরে আপনাদের এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত ভাবে জানাতে পারব।’

এদিকে বিহারের জেহানাবাদের বাবা সিদ্ধিনাথ মন্দিরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী মনোজ অভিযোগ করেন, ফুল বিক্রেতাদের মধ্যে ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে এই নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসন ভালোভাবে কাজ করলে ফুল বিক্রেতারা মারামারি করতে পারত না। সেখানে হাতাহাতি হয়েছিল। এটা আমাদের সামনেই ঘটেছে। আমি যদি সেখানে আরও এক বা দুই মিনিট আটকে থাকতাম তাহলে আমিও সেখানে পদপিষ্ট হতে পারতাম। তবে ঘটনাস্থলে প্রথমে পুলিশ মোতায়েন ছিল না। আমিও আহত হয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ভানাভার পাহাড়ে অবস্থিত সিদ্ধিনাথ মন্দিরটি বেশ প্রশিদ্ধ। স্থানীয়রা দাবি করেন, রাজা জরাসন্ধের শ্বশুর বানা রাজাকে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। অবশ্য মন্দিরটি খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে গুপ্তবংশের রাজত্বকালে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়।