‘‌রাস্তার অবস্থা কেন খারাপ?’‌ মৃতা জুনিয়ার ডাক্তারের বাড়িতে যাওয়ার সময় ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর নিহত চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইচবি টাউন পেরিয়ে এগোতেই রাস্তার হাল দেখে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পানিহাটি পুরসভাকে বিষয়টি নিয়ে কড়া নজর দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন বলে খবর। পানিহাটি পুরসভা এলাকার একাধিক রাস্তা বেহাল। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নতি হয়নি। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই পুরসভা এলাকার একাধিক জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

‘‌পথশ্রী’‌ প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ করেছেন। তারপর কেন এমন হাল রাস্তার?‌ প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাতে চাপে পড়ে গিয়েছে পানিহাটি পুরসভা। কিন্তু পানিহাটি পুরসভার পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ রয়েছে। এখানের নাটাগড় মেন রোড, সিআর রোড, কৃষ্ণপুর রোড, ঘোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আগরপাড়া যাওয়ার জন্য পিসি রোড, এইচবি টাউন, বিজয়পুর, আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোড, নীলগঞ্জ রোড–সহ একাধিক রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। এখন বর্ষাকাল চলছে। তাতে আরও খারাপ হয়েছে অবস্থা। এই আবহে সোদপুরে এসে তা পরখ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:‌ জাতীয় র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় পিছিয়ে পড়ল যাদবপুর–কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন ঘটল?‌

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইচবি টাউন মোড় থেকে এগোতেই বেশ কিছুটা অংশে রাস্তার বেহাল দশা দেখতে পান। তাতেই রেগে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি পানিহাটি পুরসভার পূর্ত বিভাগের সিআইসি সোমনাথ দে’‌কে দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি নিয়ে কৈফিয়ত তলব করেন। সোমনাথবাবুর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী খারাপ রাস্তার জন্য উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। রাস্তার অবস্থা কেন খারাপ?‌ কেন সংস্কার হচ্ছে না?‌ তা জানতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি পুরোটাই এখন কেএমডিএ দেখছে। সেটা শুনে মুখ্যমন্ত্রী পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’

মুখ্যমন্ত্রী যখন সোদপুর যাওয়ার জন্য এইচবি টাউন ধরেন তখন গাড়ি প্রবল ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ে। এমনকী ফেরার সময়ও ওই একই রাস্তা দিয়ে আসতেই গাড়ি লাফাতে থাকে। এই ঘটনা দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য দাঁড় করাতে নির্দেশ দেন। তারপর গাড়ির কাচ নামিয়ে গাড়িতে বসেই মুখ্যমন্ত্রী কাউকে ফোন করেন। সেখানেও কড়া ভাষায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে পুরসভার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দেখে গেলেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এবার কাজ হবে।’