Muhammad Yunus: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন মহম্মদ ইউনুস, হিন্দুদের রক্ষায় বাংলাদেশে চালু হেল্পলাইন

এপারে কালীঘাট আর ওপারে ঢাকেশ্বরী। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরেই সেই দেশে বসবাসকারী সংখ্য়ালঘু বিশেষত হিন্দুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার ঢাকার বিখ্য়াত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এদিন ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে তিনি সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। 

এদিকে সংখ্যালঘুদের উপর যাতে হামলা না হয় তা নিয়ে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। এবার তিনি নিজেই গেলেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। অনেকের মতে, এর মাধ্যমে একটা সম্প্রীতির বার্তা যাবে বিভিন্ন মহলে। সেই সঙ্গেই সংখ্য়ালঘুদের জন্য় হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে ফোন করে নালিশ জানানো যেতে পারে। 

এদিকে বাংলাদেশের ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গোটা পৃথিবীর কাছেই অত্যন্ত পরিচিত নাম। সেই প্রাচীন মন্দিরে এদিন যান প্রফেসর মহম্মদ ইউনুস। এই স্থানটিকে হিন্দুদের অন্য়তম শাক্তপীঠ বলে উল্লেখ করা হয়। 

বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে মন্দির,গির্জা বা প্যাগোডাতে বা কোনও ধর্মীয় স্থানে হামলা হলে ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে। এই নম্বরে ফোন করে বা এসএমএস করেও বিষয়টি জানানো যাবে। 

এদিকে ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলাদেশের হিন্দুরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কেন বার বার তাঁদর টার্গেট করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তাঁরা। সেভ হিন্দু পোস্টার নিয়ে তাঁরা ঢাকার রাজপথে নেমে এসেছিলেন। এরপরই দেশে বিদেশে এনিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য, সেখানকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার। 

এদিকে সম্প্রতি ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে সর্বজনীন পুজো উদযাপন কমিটির পদাধিকারীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। সংগঠনের নেতা আমির শফিকুর রহমান বলেছিলেন, তাঁরা যেন সাহস করে সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলেন। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, খুব পরিষ্কার করে বলছি, বাংলাদেশের কোনও জায়গায় জামায়াতে ইসলামি বা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যারা কাজ করে, যদি কোথাও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়ে কোনও অপকর্ম করছে তাহলে সে একজন দুর্বৃত্ত। কথা দিচ্ছি আমরা কোনও দুর্বৃত্তকে তো প্রশয় দেবই না।

আর সেদিনই পুজো উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার রায় বলেছিলেন, যখনই সরকার পরিবর্তন হয় কেন আমাদের উপর অত্যাচার হয়? তিনি বলেন, এই ছাত্র জনতার মধ্যে কি আমাদের হিন্দু ভাই বোনেরা মরে নাই? আমাদের কি কোনও অবদান নেই? তাহলে মন্দির পোড়ে কেন? আমার ব্যবসা লুঠপাট হয় কেন? আমার মা বোনের ইজ্জত যায় কেন? আপনারা বলেন দুর্বৃত্ত, কিন্তু নামটা হয় আপনাদের। সবাই বলে জামায়াতে ইসলামীর কথা।