Adhir Ranjan Chowdhury: ‘দোষীদের সহায়তা করতে চাইছে মমতার সরকার,’ আরজি করের ঘটনায় তোপ অধীরের

আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন শুরু হয়েছে। 

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

তিনি জানিয়েছেন, এটা নিন্দনীয়। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তবে একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রাজ্য সরকার দোষীদের সাহায্য করতে চাইছে,’ প্রাক্তন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতিকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে। 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলের ভিতর থেকে এক স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ গত পাঁচ দিনে পুলিশ তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে পর্যবেক্ষণ করার পরে এই আদেশ দিয়েছে, বেঞ্চ আদালতে তলব করা কেস ডায়েরি এবং জড়িত সমস্ত পক্ষের যুক্তিতর্ক শোনার পরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল। মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর নৈতিক দায় নিয়ে সোমবার ইস্তফা দিলেন ডাঃ ঘোষ।

মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা চাই কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এসপি দাস এবং ডাঃ সন্দীপ ঘোষ (আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ) গ্রেফতার করা হোক। তারাই এই গণহত্যার মূল কারিগর। শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও গণধর্ষণ। 
(এজেন্সি ইনপুট সহ)

অন্যদিকে আরজিকরের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ। এসবের মধ্যেই জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টরস এবার রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিল। কেবলমাত্র সরকারি পরিষেবা নয়, বেসরকারি চেম্বারও বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। বুধবার ভোর ৪টে থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক। অন্যদিকে সিবিআই আরজিকরে তদন্তে আসার আগেই আগে সেমিনার রুম ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছিল এসএফআই, ডিওয়াইএফআই। এরপরই তারা সেমিনার হল কী অবস্থায় আছে তা দেখার চেষ্টা করেন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।