RG Kar protest: কর্মবিরতিতে বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররাও, মুকুন্দপুর থেকে রুবি অবধি মিছিল

আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার রাজ্যজুড়ে ৮ ঘণ্টা আউটডোরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপিডিতে উপস্থিত না হওয়ার এবং অ-জরুরি দায়িত্ব পালন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এবার আন্দোলনে নামলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।

আরও পড়ুন: স্বচ্ছতার আশ্বাস দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? আরজি কর নিয়ে গুরুতর অভিযোগ চিকিৎসকদের

কলকাতার বাইপাসের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যোগ দেন। মনিপাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এক ঘণ্টার জন্য ওপিডিতে টোকেন ‘পেন ডাউন’ রেখে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা কালো ব্যাজ পরে হাসপাতাল চত্বরের বাইরে মিছিল করেন। চিকিৎসকরা বলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালাতে থাকবেন। ফর্টিস হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও ডিউটির সময় তাদের কব্জিতে কালো ফিতে বাঁধেন। এছাড়াও এদিন, ইএম বাইপাস বরাবর মুকুন্দপুর থেকে রুবি অবধি মিছিল করে প্রতিবাদ জানান বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার, নার্সরা।

খালি মনিপাল হাসপাতালের ওপিডি

অন্যদিকে, নিউরোলজিস্ট, অনকোলজিস্ট এবং গাইনোকোলজিস্ট সহ বেসরকারি হাসপাতালের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার বলেছেন যে তাঁরা প্রতিবাদের জন্য বহির্বিভাগের রোগী দেখবেন না। তাঁরা স্পষ্ট করছেন, এটা কোনও কর্মবিরতি নয়, এটা হল প্রতিবাদ। একজন চিকিৎসক বলেন, একটি হাসপাতাল এমন একটি জায়গা যেখানে একটি শিশুর জন্ম হয় এবং এটিই শিশু পৃথিবীতে আসার পর প্রথম দেখে। এমন জায়গায় এত নৃশংস হত্যাকাণ্ড কীভাবে ঘটতে পারে? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ওয়ার্ড এবং জরুরি বিভাগে রোগী দেখবেন। তবে ওপিডিতে কোনও রোগী দেখবেন না। মনিপাল হাসপাতালের ইস্টার্ন রিজিয়নের সিওও আয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ছিল। আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে আছি। একইসঙ্গে, বুধবার আমাদের হাসপাতালে আসা কোনও রোগী যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তাও আমরা নিশ্চিত করব। আমাদের জরুরি পরিষেবাগুলি যথারীতি চালু থাকবে।’ বেল ভিউ ক্লিনিকের সিইও প্রদীপ টন্ডন বলেছেন, বুধবার তাদের ওপিডি খোলা থাকবে। কিন্তু যদি কোনও ডাক্তার কর্মবিরতিতে যোগ দিতে চায় তাহলে তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না।