Mental health tips: নিজের ক্ষতি করেও অন্যকে খুশি করতে চান আপনি? জানেন কেন করেন এই কাজ

আমাদের চারিপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা সবসময় অন্যকে খুশি করার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। মানুষকে খুশি করতে গিয়ে এরা নিজেদের ক্ষতি করতেও রাজি হয়ে যান, কিন্তু তাও সব সময় অন্যের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যান অবিরত। কিন্তু কেন এমন হয়? কীভাবেই বা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন আপনি?

মানুষকে খুশি করার অবিরত চাহিদা কেন? 

 

নিজের থেকে অন্যকে বেশি ভালোবাসার একটি অবিরাম প্রচেষ্টা করে থাকেন অনেকে। এর অন্যতম কারণ হলো যদি আপনি ছোটবেলা থেকে ক্রমাগত সমালোচনা এবং কষ্টের মধ্যে বড় হয়ে থাকেন। যারা ছোটবেলায় বাবা-মায়ের ভালোবাসা পাননি, সময় পাননি, তাদের মধ্যে কাছের মানুষের ছেড়ে চলে যাওয়ার ভয় কাজ করে সব সময়। এই ভয় থেকেই অন্যকে ভালো রাখার প্রচেষ্টা তারা চালিয়ে যান। এতে নিজেদের ক্ষতি হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার ফলে এরা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।

(আরও পড়ুন: ‘টিফিনে বাচ্চাদের আমিষ খাবার দেবেন না’ – নয়ডার স্কুলের নোটিশে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা)

অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি 

 

যে সমস্ত মানুষ সবসময় অন্যের খুশিতে নিজের খুশি খুঁজতে চান, তারা কিন্তু দিনের শেষে কষ্টেই দিন কাটান। মানুষ আদতে এমন একজন প্রাণী, যে কিনা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোনও মুহূর্তে অন্যকে কষ্ট দিতে পারে। কিন্তু যারা আবেগের দিক থেকে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন, তারা নিজেদের কষ্ট এবং চাহিদার কথা মুখ ফুটে ভরে উঠতে পারেন না কাউকে। এর ফলে দিনের শেষে কষ্ট পেয়েও শুধুমাত্র ছেড়ে চলে যাওয়ার ভয়ে চুপ করে থাকেন এই প্রকৃতির মানুষগুলি।

কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় এই পরিস্থিতি থেকে 

 

আপনি যদি এমন কোনও মানুষকে চিনে থাকেন অথবা আপনি যদি নিজেও তেমন কোনও মানুষ হন তাহলে এখন থেকে নিজেকে পাল্টানোর চেষ্টা করুন। প্রথমেই ‘না’ বলা অভ্যাস করুন। সবসময় আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের অসম্মতি জানান অপর দিকের মানুষটিকে। ছেড়ে চলে যাওয়ার ভয় কক্ষনো পাবেন না। মনে রাখবেন, কেউ যদি আপনাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে আপনি তার জন্য যতই করুন না কেন, সে কিছুতেই আপনার সঙ্গে থাকবে না।

(আরও পড়ুন: অলিম্পিক্সে PIN Trading কী? প্রায় চার দশক ধরে চলে আসছে এই ট্র্যাডিশন)

বন্ধুবান্ধব হোক বাবা-মা, নিজের মতামত প্রকাশ করুন সকলের সামনে। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তবেই আপনার চারি পাশের মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। মনে রাখবেন, ভালোবাসা কোনও ভিক্ষার জিনিস নয়। সব সময় দিয়ে ভালোবাসা অর্জন করা যায় না, তাই এখন থেকেই আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার চেষ্টা করুন এবং নিজের মতামত জানান সর্বসমক্ষে।