‘‌আগামী ৫ বছরে মেডিক্যাল কলেজে ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে’‌, বড় ঘোষণা মোদীর

আজ দেশের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আজ, বৃহস্পতিবার অংশ নেন। প্রত্যেকবারের মতো এবারও তিনি নয়াদিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। আর ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত জাতি হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার সঙ্গেই আগামী ৫ বছরে ডাক্তারি পড়ায় ৭৫ হাজার নতুন আসন তৈরির কথা ঘোষণা করেন তিনি। আসলে নিট কেলেঙ্কারি ঢাকতেই এই নতুন স্বপ্ন ফেরি করলেন নরেন্দ্র মোদী বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কথা আজ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তৃতীয়বার সরকারে এসে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নতুন স্বপ্ন ফেরি করলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, ‘‌আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ৫ বছরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমার প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য। তৃতীয় মেয়াদে তিনগুণ গতিতে কাজ করব। আপনারা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি পালন করব। আমি চ্যালেঞ্জকে ভয় পাই না। আমি তোমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আছি।’‌

অন্যদিকে স্বাধীনতার আগের কথা যদি স্মরণ করা যায় তবে দেখা যাবে শতবর্ষের দাসত্বের বিরুদ্ধে অবিরত যুদ্ধ চালিয়েছেন দেশবাসী বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‌যদি ৪০ কোটি দাসত্বের বেড়ি ভাঙতে পারে, স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, তাহলে ১৪০ কোটি মানুষ কী করতে পারে, ভাবুন। পায়ে পা মিলিয়ে যদি দেশবাসী এগিয়ে চলে, তবে যতই প্রতিবন্ধকতা থাকুক না কেন, যতই অভাব থাকুক না কেন, আমরা বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ৫ বছরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌চল্লিশ কোটি মানুষের রক্ত বইছে আমাদের শরীরে’, বিকশিত ভারত গঠনে বার্তা মোদীর‌

এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের স্যালুট করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের জন্য আমাদের সৌভাগ্য হয়েছে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে পারছি বলেও মন্তব্য করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘মহিলাদের প্রতি যে অত্যাচার হচ্ছে তাতে মানুষের আক্রোশ বাড়ছে। এটা বুঝতে পারি। রাজ্য় সরকারগুলিকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ হলে তা দ্রুত তদন্ত করতে হবে। কড়া সাজা হোক। মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা যখন ঘটে তখন তা নিয়ে বহু চর্চা হয়। কিন্তু অপরাধীর যখন সাজা হয় তখন কোনও খবর হয় না। সময়ের দাবি, যার সাজা হল তা নিয়ে চর্চা হোক। যাতে অন্যদের মনে ভয় তৈরি হয়। রাজ্যগুলিকে বলব ভাষার জন্য আমাদের ট্যালেন্ট যেন নষ্ট না হয়। নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে।’‌