‘পুলিশই দুষ্কৃতীদের ঢোকার পথ করে দিয়েছে, পরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার নাটক করেছে তারা’

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী নার্স ও আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার রাতে কী ভাবে হাসপাতালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে ভাঙচুরে তারা আঙুল তুলেছেন পুলিশের দিকে। পুলিশের ব্যর্থতাতেই হামলা বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন – চিকিৎসক খুনে অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অস্বীকার চিকিৎসকদের, বিপাকে CBI

পড়তে থাকুন – ‘সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ’

 

হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নাইট ডিউটিতে থাকা নার্সরা। তখনও তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এক নার্স বলেন, রাত ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তার পর হঠাৎ দেখি বাইরে থেকে দলে দলে লোক ঢুকছে। তাদের হাতে লাঠি, রড হাতুড়ি। পুলিশ তাদের প্রতিরোধ করার বদলে পালাচ্ছে। পুলিশকর্মীরা পালিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন এর পর আমাদের কাছে লুকানোর জায়গা চান। ওয়ার্ডের শৌচাগারে গিয়ে আত্মগোপন করেন তাঁরা। পুলিশকর্মীরাই দুষ্কৃতীদের হাসপাতালে ঢোকার পথ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। লাঠি, রড দিয়ে সামনে যা পেয়েছে তাই ভেঙেছে তারা। তার পর তারা একে একে ওয়ার্ড ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এর পর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার নাটক শুরু করে। তখন আর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে কী হবে? এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কাজ করে গিয়েছে। আগে থেকে ঠিক করে রাখা সমস্ত অস্ত্রোপচার হয়েছে। কোনও অস্ত্রোপচার বাতিল হয়নি।

আরও পড়ুন – ‘পাওয়ারফুল’ সন্দীপ, মদ খাইয়ে হাতে রাখতেন জুনিয়রদের, বিস্ফোরক এক্স ডেপুটি সুপার

রোগী ভর্তি বিভাগের এক কর্মী বলেন, প্রায় ১০০ – ১৫০ জন হঠাৎ হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। আমি পালাই। আমার আগে পুলিশ পালিয়ে যায়। আমাকে ধাওয়া করে তিন তলা পর্যন্ত পৌঁছে যায় দুষ্কৃতীরা।