‘‌প্রত্যেক হুলিগান ক্যামেরায় ধরা পড়েছে’‌, আরজি কর হামলা নিয়ে বড় অভিযোগ তৃণমূল মুখপাত্রের

মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় বাম–বিজেপি এককাট্টা হয়েছে। তাঁরা এই ঘটনায় সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন। আর এবার এই তাণ্ডব, হামলার ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত জানিয়ে দিলেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এই ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। কারণ একজন তরুণী চিকিৎসককে যেখানে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সেখানে সমব্যথী হওয়ার অজুহাতে রাস্তায় নেমে এভাবে তাণ্ডব চালিয়ে আসলে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হয়েছে।

এদিকে আরজি কর হাসপাতালে গত শুক্রবার এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারই প্রতিবাদে চলে আন্দোলন। বুধবার রাতে নাগরিক সমাজ জেগে রাস্তার দখল নিয়েছিল। এটাই ছিল প্রতিবাদ। সেখানে আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর, তছনছ থেকে গুণ্ডামি চরম আকার ধারণ করে। এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র লেখেন, ‘‌আপনারা জানতে চান, কারা আরজি কর হাসপাতাল ধ্বংস করেছে, কারা এই হুলিগানস, কী তাদের পরিচয়?‌ তাহলে এই ভিডিয়ো দেখুন।’‌ তারপরই পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে সিপিএম ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফআই তাদের পতাকা নিয়ে হামলা করছে। যদিও এই ভিডিয়ো সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের গুন্ডাদের পাঠিয়েছিল রাজনৈতিক মিছিলে।’‌ আর এই ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ঋজু দত্ত লেখেন, ‘‌একটা জঙ্গি সংগঠন হল ডিওয়াইএফআই। সিপিএমের একটা অংশ ৩৪ বছর ধরে বাংলাকে ধ্বংস করেছে, আবার পুরনো কারসাজি নিয়ে তারা ফিরে এসেছে। এটা একটা নোংরা চক্রান্ত বাংলাকে বাংলাদেশে পরিণত করার ছক প্রতিবাদের নামে।’‌

আরও পড়ুন:‌ আরজি কর হাসপাতালে রাতের হামলায় এককাট্টা বিরোধীরা, পুলিশ কেন নীরব দর্শক?‌ প্রশ্ন সুকান্তের

যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দেগেছেন। তার আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অভিষেক লিখেছেন, ‘আরজি করে যে গুন্ডামি হল সেটা সব মাত্রা ছাড়িয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছি।’‌ আর ঋজু দত্ত লিখেছেন, ‘‌এবার সবাইকে নিশ্চিত করছি প্রত্যেক হুলিগান ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কাউকে ছাড়া হবে না। তার রাজনৈতিক রং, ধর্ম, জাত যাই থাক না কেন। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার। আর সেটা কড়া হাতে ঠিক করা হবে। যথেষ্ট হয়েছে।’‌ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘‌এটা কি ভয় পেয়ে শাসকের চক্রান্ত? তথ্য লোপাটের চেষ্টা?’‌